খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫, ২৬ কার্তিক, ১৪৩২

রাবির ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ‘সি’ ইউনিটের উত্তরপত্র; বিভ্রান্ত শিক্ষার্থীরা

মীর তুহিন, রাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ৪:৫১ অপরাহ্ণ
রাবির ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ‘সি’ ইউনিটের উত্তরপত্র; বিভ্রান্ত শিক্ষার্থীরা

ছবি: 'বি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার উত্তরপত্র

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘বি’ ইউনিট তথা ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় দেখা মিললো ‘সি’ ইউনিট তথা বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান এবং ভূ-বিজ্ঞান অনুষদের উত্তরপত্র (ওএমআর শিট)। ফলে বিজ্ঞান অনুষদের উত্তরপত্র দেখে হতভম্ব ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও রাবির কেন্দ্রগুলোতে দেখা দিয়েছে নানা সমস্যা।

ছবি: ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার উত্তরপত্র

শনিবার (১২ এপ্রিল) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ্ অ্যাকাডেমিক কলা ভবনের ২০১, ২০৩ ও ২০৪ নম্বর কক্ষে এসব ঘটনা ঘটে। এছাড়াও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অ্যাকাডেমিক ভবন ও স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু বিজ্ঞান ভবনেও এমন ঘটনা ঘটেছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই প্রথম পাঁচটি আঞ্চলিক কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শনিবার (১২ এপ্রিল) বেলা ১১টায় শুরু হয় ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কেন্দ্রে ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ‘সি’ ইউনিটের উত্তরপত্র বিতরণ করা হয়। ভুল উত্তরপত্র নজরে পড়লে হতভম্ব হয়ে পড়েন শিক্ষার্থীরা। পরে কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের আন্তরিকতায় ওএমআর শিট পরিবর্তন করে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয়। ১১টার আগেই শিক্ষার্থীদের মাঝে উত্তরপত্র বিতরণ করার নিয়ম থাকলেও ওএমআর শিটে ঝামেলা থাকায় পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৫ মিনিট আগে উত্তরপত্র পান শিক্ষার্থীরা। ওএমআর শিটে নিজেদের রোল নম্বর, সেট কোড ভরাট এবং নিজেদের নাম-ঠিকানা লিখতে গিয়ে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করতে হয়েছে তাদের।

এদিকে, স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু অ্যাকাডেমিক ভবনের ২১৮ নম্বর কক্ষে ৯০ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর জন্য ওএমআর শিট পাঠানো হয়েছে ২৭টি। ফলে উত্তরপত্র বিতরণের সময় বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েন কক্ষে থাকা পরিদর্শকরা। এছাড়াও অ্যাডমিট কার্ড সংক্রান্ত ঝামেলাতেও পড়তে হয় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের।

পরীক্ষা শেষে হল থেকে বেরিয়ে জাহিদ নামে এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী জানান, “আমরা পরীক্ষার অন্তত আধাঘণ্টা আগেই হলে উপস্থিত হয়েছিলাম। কিন্তু ওএমআর শিট দেওয়ার পর দেখি সেখানে ‘বি’ ইউনিটের পরিবর্তে ‘সি’ ইউনিট লেখা রয়েছে। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে কক্ষ পরিদর্শককে জানালে তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেন। তবে ততক্ষণে অনেকটা সময় পেরিয়ে গেছে। পরীক্ষার একেবারে শুরু হওয়ার ঠিক আগে আগে আমাদের নতুন শিট দেওয়া হয় এবং আমরা তাড়াহুড়ো করে তা পূরণ করি।”

শহীদুল্লাহ্ ভবনে দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) অধ্যাপক গোলাম আরিফ বলেন, “আমাদের পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। তবে একটি ছোট ভুল হয়েছিল—শহীদুল্লাহ্ ভবনের ২০৪ নম্বর কক্ষে ভুলবশত ‘বি’ ইউনিটের ওএমআর শিটের পরিবর্তে ‘সি’ ইউনিটের ওএমআর সরবরাহ করা হয়েছিল। কিন্তু আমরা তা সঙ্গে সঙ্গেই সংশোধন করে সঠিক ওএমআর শিট সরবরাহ করেছি, ফলে পরীক্ষার্থীদের বড় কোনো অসুবিধা হয়নি।”

তিনি আরও বলেন, “একাধিকবার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করায় কিছু পরীক্ষার্থীর সামান্য সমস্যা হয়েছিল, তবে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে সেগুলো সমাধান করেছি। সবাই সুন্দরভাবে পরীক্ষায় অংশ নিতে পেরেছে।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এস এম এম কামরুজ্জামান বলেন, “‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। তবে কিছু জায়গায় ওএমআর শিট সংক্রান্ত সমস্যা হয়েছে। আমরা সেগুলো সমাধান করেছি, ফলে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কোনো সমস্যা হয়নি।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বলেন, “যারা ওএমআর শিট প্রিন্ট করে প্যাকিং করেছে, তারাই এ বিষয়টি ভুল করেছে। প্যাকিংয়ের উপরে ‘বি’ ইউনিট লেখা ছিল, কিন্তু ভিতরে ছিল ‘সি’ ইউনিটের ওএমআর শিট। পরবর্তীতে এ বিষয়ে আমরা খেয়াল রাখবো।”

অধিকার আদায়ের ডাক — এনটিআরসিএর বিরুদ্ধে মাঠে নামছে ১ম–১২তম নিবন্ধনধারীরা

মোঃ শফিকুল ইসলাম (মাগুরা সদর)
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ৯:১২ অপরাহ্ণ
অধিকার আদায়ের ডাক — এনটিআরসিএর বিরুদ্ধে মাঠে নামছে ১ম–১২তম নিবন্ধনধারীরা

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের উদ্দেশ্যে যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রণয়ন, নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন করার দায়িত্বে গঠিত বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। কিন্তু বৈধ সনদপ্রাপ্ত (১ম থেকে ১২তম) নিবন্ধনধারীরা দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ বঞ্চনার শিকার।

এই বঞ্চনার প্রতিবাদে আসছে ৯ নভেম্বর শাহবাগে আবারও কঠোর আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন নিবন্ধনধারীরা।

তাদের অভিযোগ, বারবার মনগড়া নিয়ম প্রণয়ন করে নিবন্ধনধারীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে এনটিআরসিএ এসব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আয় করছে কোটি কোটি টাকা। একাধিক ধাপে আবেদন করতে হয় প্রার্থীদের, প্রতিটি ধাপেই দিতে হয় আলাদা ফি—ফলে হাজার হাজার টাকা খরচ হয় একজন প্রার্থীর।

২০১৪ সালে এনটিআরসিএ থেকে বৈধ সনদপ্রাপ্ত মো. মামুন ইসলাম জানান,

> “তিন বছর ধরে অপেক্ষা করছি। টেবিল টেবিল ঘুরেছি। এমনকি এক সহকর্মী মিতা নিজের স্বর্ণের চেন বিক্রি করে আবেদন করেছে। তারপরও কোনো সুরাহা হয়নি।”

নির্বাহী কমিটির সদস্য আমির আসহাব জানান,

তাদের দাবি, গণবিজ্ঞপ্তির আবেদনে এনটিআরসিএ প্রায় ২০৩ কোটি টাকা আয় করেছে—কিন্তু তার বিনিময়ে প্রার্থীরা পাচ্ছেন না ন্যায্য নিয়োগ। নিবন্ধনধারীদের ভাষায়, “এনটিআরসিএর নিয়মগুলোই যেন এক একটি ফাঁদ।”

বছরের পর বছর ধরে চলমান এই বঞ্চনা ও বৈষম্যের প্রতিবাদে ১–১২তম নিবন্ধনধারীরা একাধিকবার মানববন্ধন, অনশন ও আন্দোলন করেছেন। ২০২১ সালের ৮ অক্টোবর প্রেসক্লাবে মানববন্ধনের মাধ্যমে শুরু হয় তাদের আন্দোলন। এরপর প্রায় ২০০ দিন অনশন ও রাতযাপন কর্মসূচি পালন করেছেন শাহবাগ ও শহীদ মিনারে।

তাদের আন্দোলনে জলকামান ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটেছে, তবুও তারা পিছু হটেননি। বারবার আশ্বাস পেলেও বাস্তবে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
নির্বাহী কমিটির সদস্য জিএম ইয়াছিন নিবন্ধনধারীদের পক্ষে দাবি উপস্থাপন করে বলেন
“আমরা বৈধ সনদপ্রাপ্ত শিক্ষক। আমাদের নিয়োগ না দেওয়া সরাসরি বৈষম্য ও অবিচার। আমরা চাই শিক্ষা ক্ষেত্রের বৈষম্য দূরীকরণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ।”আগামী ৯ নভেম্বরের মহাসমাবেশে শিক্ষকরা জানাচ্ছেন, এবার তাদের আন্দোলন শেষ লড়াইয়ের ঘোষণা হয়ে আসবে।

বেঁচে থাকার কঠিন যুদ্ধে রিফাত, চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিলেন কায়সার কামাল

নেত্রকোণা জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:৩০ অপরাহ্ণ
বেঁচে থাকার কঠিন যুদ্ধে রিফাত, চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিলেন কায়সার কামাল

নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত হরিণাকুড়ি গ্রামের রিফাত জন্মের পর থেকেই থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। রিফাতের বাবা আলম মিয়া একজন সাধারণ শ্রমজীবী। তার সীমিত আয় দিয়ে সংসার চালাতেই হিমসিম খেতে হয়। তাই রিফাতের উন্নত চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছিলো না। দিন দিন রিফাতের শারিরীক অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছিলো।

এবার রিফাতের জন্য মানবতার হাত বাড়ালেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তিনি ১৪ বছর বয়সী রিফাতের চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিয়েছেন। সোমবার (৫ নভেম্বর) এই কিশোরকে ঢাকার পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রিফাতের বাবা আলম মিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে রিফাতকে প্রতি মাসে রক্ত দিতে হচ্ছে। সাম্প্রতিক পরীক্ষায় জানা যায়, তার লিভারে একটি অস্ত্রোপচার প্রয়োজন, যা সম্পন্ন হলে সে সুস্থ হয়ে উঠবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

রিফাতের পারিবারিক সূত্র জানায়, বেঁচে থাকার যুদ্ধটা যখন রিফাতের জন্য কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছিলো এবং তার জীবন প্রদীপ নিভে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছিলো ঠিক তখনই অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

বর্তমানে ঢাকার পিজি হাসপাতালে ডা. শাহীনের তত্ত্বাবধানে রিফাতের চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকরা জানান, থ্যালাসেমিয়া রোগের চলমান ট্রিটমেন্টের মধ্যে এখন জরুরি ভিত্তিতে তার লিভারের অপারেশন করতে হবে।

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, জটিল রোগ থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রিফাত যেন সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে, তার সমস্ত চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। আসুন সবাই দোয়া করি রিফাতের সফল অপারেশনের জন্য। মানবতার সেবায় আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।

এই মানবিক উদ্যোগ নেয়ায় স্থানীয় জনসাধারণ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ব্যারিস্টার কায়সার কামালের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

কুড়িগ্রামে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শনিবার, ১ নভেম্বর, ২০২৫, ১:৩৭ অপরাহ্ণ
কুড়িগ্রামে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও সমাবেশ

কুড়িগ্রামে সাংবাদিকদের ২১দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার (১লা নভেম্বর) সকাল ১১টায় কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মোড়ে মানববন্ধন ও সমাবেশের আয়োজন করেন কুড়িগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেজিইউজে)।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সাংবাদিকদের নূন্যতম বেতন ৩৫ (পয়ত্রিশ) হাজার টাকা, সাগর-রুনী হত্যাসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার, নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন, দশম ওয়েজ বোর্ড গঠন, চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের চাকুরিতে পুনর্বহালসহ ২১ দফা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান।

তাঁরা আরো বলেন, অনতিবিলম্বে সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর – রুনী হত্যাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাংবাদিকদের উপর হামলা ও হত্যার বিচার করতে হবে।

মানববন্ধন ও সমাবেশে কুড়িগ্রাম জেলার নয়টি উপজেলার সকল ইলেক্ট্রিনক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন।