রাবিতে নিরাপত্তাহীনতা; ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে এক শিক্ষার্থী আহত

ছবি: আরাফাত শাওন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ আমীর আলী হলের পাশের রাস্তায় গতকাল সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষার্থী আরাফাত শাওন বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের শিক্ষার্থী। সম্প্রতি তার স্নাতকোত্তর শেষ হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে সৈয়দ আমীর আলী হলের পাশের রাস্তা দিয়ে হেঁটে হলে ফিরছিলেন শাওন। এ সময় কয়েকজন ছিনতাইকারী তাঁর পথ রোধ করে। তাঁর মুঠোফোন কেড়ে নিতে চাইলে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে ছিনতাইকারীরা তার পেটের দুই জায়গায় ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এরপর তিনি নিজেই দ্রুত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রে আসেন। সেখান থেকে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) ভর্তি করা হয়। অস্ত্রোপচার শেষে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান জানিয়েছেন, আরাফাতের পেটে দুই জায়গায় ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। কাল রাতেই তাঁর অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন তিনি এখন বিপদমুক্ত। এ ঘটনায় তারা প্রত্যক্ষদর্শী কাউকে পাচ্ছেন না। বিষয়টি নিয়ে তাদের প্রক্টরিয়াল বডি কাজ করছে।
এদিকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির, শাখা ছাত্রদল ও ছাত্র ফেডারেশন।
বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেছেন, “৩২ হাজার শিক্ষার্থীর এই ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রশাসনের প্রধান দায়িত্ব হলেও, বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। ৭৫৩ একরের এই ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নেই। নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্যাও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। নিরাপত্তা ঘাটতির বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনায় থাকলেও, প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো যথেষ্ট কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি।”
আমরা মনে করি, শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রথম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। তাই ক্যাম্পাসের প্রতিটি স্থানে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, নিয়মিত নিরাপত্তা টহল এবং গেট নিয়ন্ত্রণসহ সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা দ্রুত উন্নয়নের দাবি জানাচ্ছি।”