রাজশাহীর দরিখড়বোনা বিএনপির ২ গ্রুপের সংঘর্ষ

রাজশাহীর রেলগেট এলাকায় বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষ গোলাগুলি, ককটেল বিস্ফোরণ, সাংবাদিক সহ ২টি মটরসাইকেল আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এতে গোয়েন্দা পুলিশের এক সদস্যসহ তিনজন আহতের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানান, কাদিরগঞ্জ এলাকার আওয়ামী লীগের কর্মী আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ মোস্তাক আহমেদ বাবুকে ধরিয়ে দেবার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালায়। এতে মোস্তাক আহমেদ বাবু পালিয়ে গেলে তাকে আর ধরা হয়নি। সিসিফুটেজ ও নিরাপত্তা খাতায় মোস্তাকের নামক থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে । অভিযান শেষে তার ভাই সাব্বির বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়। মোস্তাক আহমেদকে না পাওয়ায় মহিলা দল নেত্রী লাভলী সাবেক যুবদল নেতা মারুফ হোসেন জীবনকে দায়ী করে করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মারুফের অনুসারীরা দড়িখড়বোনা এলাকার লাভলীর বাড়িতে ভাঙচুর করে। এরপর প্রতিশোধ হিসেবে লাভলীর অনুসারীরা মারুফের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে হামলা করে ভাংচুর চালায় । দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ঘটে। এক পর্যায়ে ইট পাটকেল, ধারালো অস্ত্র ও হাতবোমার ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। ইট পাটকেলের আঘাতে নগর গোয়েন্দা সদস্য তোফাজ্জল সহ আরো ২জন আহত হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু হয়ে রাত ১১ টা পর্যন্ত এই সংঘর্ষ ঘটে। পরে রাত ১১ টার দিকে সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে মোটরসাইকেল দেওয়া আগুন নিভিয়ে দেয়। সংঘর্ষের পর রাতে সাড়ে ১১ টার দিকে তাৎক্ষনিক সংবাদ সম্মেলন করেন মহিলা দল নেত্রী লাভলী। তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপিরই একটি গ্রুপ তার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। লাভলী আরও দাবি করেন, আওয়ামী লীগ নেতার ভাই সাব্বিরকে তুলে দেওয়ার আগে তাকে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, যা তিনি ফিরিয়ে দেন। এ কারণে তার বাড়িতে হামলা চালানো হয়।
এ বিষয়ে মারুফ হোসেন জীবনের বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তবে তার পক্ষ থেকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, সংঘর্ষের কারণ আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাক নন, বরং লাভলীর পরিবারের সাথে রাজনৈতিক বিরোধ।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন জানান, সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রাতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বাড়ানো হয় যৌথবাহিনীর টহল। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলে তদন্ত করে দোষিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।