খুঁজুন
সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৫, ২৫ কার্তিক, ১৪৩২

মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে এলেন অপহৃত ইমাম পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ

ওসমান / জেলা প্রতিনিধি কক্সবাজার
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫, ৯:১৯ অপরাহ্ণ
মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে এলেন অপহৃত ইমাম পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ

ঈদগাঁও-ঈদগড়-বাইশারী সড়ক থেকে অপহরণের শিকার হন মসজিদের ইমাম মিজানুর রহমান (৩১)। তাঁকে দুই লাখ টাকা ‘মুক্তিপণ’ দিয়ে মুক্ত করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্বজনেরা। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে মিজানুর বাড়ি ফেরেন।

মঙ্গলবার সকাল সোয়া আটটার দিকে যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশায় চড়ে ঈদগড় থেকে ঈদগাঁও সদরে যাওয়ার পথে সড়কের হিমছড়ি ঢালা নামের স্থানে অপহৃত হন ঈদগড় ইউনিয়নের জঙ্গলকাটা মসজিদের ইমাম মিজানুর রহমান। অপহরণকারীরা অটোরিকশা থেকে তুলে নিয়ে জঙ্গলের আস্তানায় আটকে রাখে বলে মিজানুর জানিয়েছেন। তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য প্রথমে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরে দুই লাখ টাকা দিয়ে পরিবারের সদস্যরা মিজানুর রহমানকে ছাড়িয়ে আনেন।

মিজানুর রহমানের বাড়ি রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জঙ্গলকাটা গ্রামে। তিনি জঙ্গলকাটা মসজিদের ইমামের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি স্থানীয় বড়বিল ইবতেদায়ি নুরানি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।

আজ বুধবার বিকেলে নিজ বাড়িতে অপহরণ ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে আসা মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে ঈদগড় থেকে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশাতে করে তিনি ঈদগাঁও বাজারে যাচ্ছিলেন তিনি। গাড়িতে আরও দুজন যাত্রী ছিলেন। সকাল সোয়া আটটার দিকে হিমছড়ি ঢালায় কাঠের গুঁড়ি ফেলে ১০-১৫ জন সশস্ত্র দুর্বৃত্ত অটোরিকশা থামায়। এরপর তারা যাত্রীদের মারধর ও লুটপাট শুরু করে। পরে মুক্তিপণের কথা বলে তাঁকে (মিজানুর) জঙ্গলে নিয়ে যায়।

মিজানুর ও তাঁর স্ত্রী অপহরণকারীদের বলেছিলেন, তাঁরা ঈদগাঁওতে আত্মীয়ের জানাজায় যাচ্ছেন। সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা যা আছে নিয়ে হলেও তাঁদের ছেড়ে দিতে। কিন্তু এরপরও তাঁকে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। জঙ্গলের একটি বাড়িতে নিয়ে মিজানুরকে মারধর করে তারা। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মিজানুরের মুঠোফোন থেকে অপহরণকারীরা তাঁর বড় ভাই আবু বক্করকে কল দিয়ে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিয়ে মিজানুরকে গুলি করে হত্যার পর লাশ গুম করার হুমকি দেয়। প্রশাসনিক সহযোগিতা না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে তাঁকে ছাড়িয়ে আনেন।

অধিকার আদায়ের ডাক — এনটিআরসিএর বিরুদ্ধে মাঠে নামছে ১ম–১২তম নিবন্ধনধারীরা

মোঃ শফিকুল ইসলাম (মাগুরা সদর)
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ৯:১২ অপরাহ্ণ
অধিকার আদায়ের ডাক — এনটিআরসিএর বিরুদ্ধে মাঠে নামছে ১ম–১২তম নিবন্ধনধারীরা

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের উদ্দেশ্যে যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রণয়ন, নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন করার দায়িত্বে গঠিত বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। কিন্তু বৈধ সনদপ্রাপ্ত (১ম থেকে ১২তম) নিবন্ধনধারীরা দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ বঞ্চনার শিকার।

এই বঞ্চনার প্রতিবাদে আসছে ৯ নভেম্বর শাহবাগে আবারও কঠোর আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন নিবন্ধনধারীরা।

তাদের অভিযোগ, বারবার মনগড়া নিয়ম প্রণয়ন করে নিবন্ধনধারীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে এনটিআরসিএ এসব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আয় করছে কোটি কোটি টাকা। একাধিক ধাপে আবেদন করতে হয় প্রার্থীদের, প্রতিটি ধাপেই দিতে হয় আলাদা ফি—ফলে হাজার হাজার টাকা খরচ হয় একজন প্রার্থীর।

২০১৪ সালে এনটিআরসিএ থেকে বৈধ সনদপ্রাপ্ত মো. মামুন ইসলাম জানান,

> “তিন বছর ধরে অপেক্ষা করছি। টেবিল টেবিল ঘুরেছি। এমনকি এক সহকর্মী মিতা নিজের স্বর্ণের চেন বিক্রি করে আবেদন করেছে। তারপরও কোনো সুরাহা হয়নি।”

নির্বাহী কমিটির সদস্য আমির আসহাব জানান,

তাদের দাবি, গণবিজ্ঞপ্তির আবেদনে এনটিআরসিএ প্রায় ২০৩ কোটি টাকা আয় করেছে—কিন্তু তার বিনিময়ে প্রার্থীরা পাচ্ছেন না ন্যায্য নিয়োগ। নিবন্ধনধারীদের ভাষায়, “এনটিআরসিএর নিয়মগুলোই যেন এক একটি ফাঁদ।”

বছরের পর বছর ধরে চলমান এই বঞ্চনা ও বৈষম্যের প্রতিবাদে ১–১২তম নিবন্ধনধারীরা একাধিকবার মানববন্ধন, অনশন ও আন্দোলন করেছেন। ২০২১ সালের ৮ অক্টোবর প্রেসক্লাবে মানববন্ধনের মাধ্যমে শুরু হয় তাদের আন্দোলন। এরপর প্রায় ২০০ দিন অনশন ও রাতযাপন কর্মসূচি পালন করেছেন শাহবাগ ও শহীদ মিনারে।

তাদের আন্দোলনে জলকামান ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটেছে, তবুও তারা পিছু হটেননি। বারবার আশ্বাস পেলেও বাস্তবে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
নির্বাহী কমিটির সদস্য জিএম ইয়াছিন নিবন্ধনধারীদের পক্ষে দাবি উপস্থাপন করে বলেন
“আমরা বৈধ সনদপ্রাপ্ত শিক্ষক। আমাদের নিয়োগ না দেওয়া সরাসরি বৈষম্য ও অবিচার। আমরা চাই শিক্ষা ক্ষেত্রের বৈষম্য দূরীকরণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ।”আগামী ৯ নভেম্বরের মহাসমাবেশে শিক্ষকরা জানাচ্ছেন, এবার তাদের আন্দোলন শেষ লড়াইয়ের ঘোষণা হয়ে আসবে।

বেঁচে থাকার কঠিন যুদ্ধে রিফাত, চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিলেন কায়সার কামাল

নেত্রকোণা জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:৩০ অপরাহ্ণ
বেঁচে থাকার কঠিন যুদ্ধে রিফাত, চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিলেন কায়সার কামাল

নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত হরিণাকুড়ি গ্রামের রিফাত জন্মের পর থেকেই থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। রিফাতের বাবা আলম মিয়া একজন সাধারণ শ্রমজীবী। তার সীমিত আয় দিয়ে সংসার চালাতেই হিমসিম খেতে হয়। তাই রিফাতের উন্নত চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছিলো না। দিন দিন রিফাতের শারিরীক অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছিলো।

এবার রিফাতের জন্য মানবতার হাত বাড়ালেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তিনি ১৪ বছর বয়সী রিফাতের চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিয়েছেন। সোমবার (৫ নভেম্বর) এই কিশোরকে ঢাকার পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রিফাতের বাবা আলম মিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে রিফাতকে প্রতি মাসে রক্ত দিতে হচ্ছে। সাম্প্রতিক পরীক্ষায় জানা যায়, তার লিভারে একটি অস্ত্রোপচার প্রয়োজন, যা সম্পন্ন হলে সে সুস্থ হয়ে উঠবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

রিফাতের পারিবারিক সূত্র জানায়, বেঁচে থাকার যুদ্ধটা যখন রিফাতের জন্য কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছিলো এবং তার জীবন প্রদীপ নিভে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছিলো ঠিক তখনই অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

বর্তমানে ঢাকার পিজি হাসপাতালে ডা. শাহীনের তত্ত্বাবধানে রিফাতের চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকরা জানান, থ্যালাসেমিয়া রোগের চলমান ট্রিটমেন্টের মধ্যে এখন জরুরি ভিত্তিতে তার লিভারের অপারেশন করতে হবে।

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, জটিল রোগ থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রিফাত যেন সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে, তার সমস্ত চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। আসুন সবাই দোয়া করি রিফাতের সফল অপারেশনের জন্য। মানবতার সেবায় আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।

এই মানবিক উদ্যোগ নেয়ায় স্থানীয় জনসাধারণ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ব্যারিস্টার কায়সার কামালের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

কুড়িগ্রামে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শনিবার, ১ নভেম্বর, ২০২৫, ১:৩৭ অপরাহ্ণ
কুড়িগ্রামে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও সমাবেশ

কুড়িগ্রামে সাংবাদিকদের ২১দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার (১লা নভেম্বর) সকাল ১১টায় কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মোড়ে মানববন্ধন ও সমাবেশের আয়োজন করেন কুড়িগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেজিইউজে)।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সাংবাদিকদের নূন্যতম বেতন ৩৫ (পয়ত্রিশ) হাজার টাকা, সাগর-রুনী হত্যাসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার, নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন, দশম ওয়েজ বোর্ড গঠন, চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের চাকুরিতে পুনর্বহালসহ ২১ দফা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান।

তাঁরা আরো বলেন, অনতিবিলম্বে সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর – রুনী হত্যাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাংবাদিকদের উপর হামলা ও হত্যার বিচার করতে হবে।

মানববন্ধন ও সমাবেশে কুড়িগ্রাম জেলার নয়টি উপজেলার সকল ইলেক্ট্রিনক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন।