খুঁজুন
বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ১২ চৈত্র, ১৪৩১

মানুষ উপদেশ শুনতে পছন্দ করে না : তাহসান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৩:৩৭ অপরাহ্ণ
মানুষ উপদেশ শুনতে পছন্দ করে না : তাহসান

তাহসান খান (ছবি সংগৃহীত)

‘ফ্যামিলি ফিউড’ ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে এসেছে বঙ্গ। এনটিভিতে প্রচারের পর এটি বঙ্গ অ্যাপেও দেখা যাচ্ছে। টান টান উত্তেজনায় ভরা পারিবারিক বিনোদনমূলক এ শোর উপস্থাপনা করছেন তাহসান। গত মাসের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠানটির প্রচার শুরু হয়েছে। প্রথম মৌসুমে ২৪ পর্ব ধারণ করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে ভিন্ন রকম এক তাহসানকে সবাই আবিষ্কার করেছেন। পারিবারিক এই শোতে অংশ নেওয়া প্রতিযোগীরাও তাহসানকে উপস্থাপক হিসেবে পেয়ে বেশ মজা পেয়েছেন।

গত রোববার দুপুরে কথা প্রসঙ্গে তাহসান বললেন, ‘এই শো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেশ জনপ্রিয়। অনেক আগে থেকে আমিও দেখেছি। যাঁরাই এই অনুষ্ঠান দেখেছেন, তাঁরা ধরনটা জানেন। যাঁরা নতুন দেখছেন, তাঁদের জন্য অন্য রকম মজা। স্টিভ হার্ভেকে দেখছি অনেক বছর। শো করতে গিয়ে আমার মধ্যে রোমাঞ্চকর ব্যাপারটা কাজ করছে। তবে প্রত্যেক উপস্থাপকের নিজস্ব একটা স্টাইল থাকে। আমি এ অনুষ্ঠানে তাঁর সেই স্টাইল অনুসরণ না করে আমার দেশের কথা ভেবে, নিজের ব্যক্তিত্বের কথা মাথায় রেখে শোটা করছি। মানুষও উপভোগ করছে। আমাদের দেশে পারিবারিক শোর অভাব ছিল। এই অনুষ্ঠান সে অভাব অনেকটা ঘুচিয়েছে।’

শেষ কবে উপস্থাপনা করেছেন, তাহসানের মনে নেই। বললেন, ‘১২ কি ১৫ বছর তো হবেই।’

দীর্ঘদিন পর উপস্থাপনা প্রসঙ্গে তাহসান বললেন, ‘আমি চেয়েছি ভিন্নভাবে আসতে। আমার বন্ধুবান্ধব আর পরিবারের সবার সঙ্গে যেভাবে আড্ডা দিই, এখানেও সে রকম থাকার চেষ্টা ছিল। জোর করে আমাকে কিছু করতে হয়নি। গুরুগম্ভীর কিছু চাইনি।’

তাহসানের প্রিয় উপস্থাপকেরা

গানের পাশাপাশি একটা সময় অভিনয়েও নাম লেখান তাহসান। এখন টেলিভিশনের শোর উপস্থাপক হিসেবেও দেখা যাচ্ছে। তাঁর মতে, এখন উপস্থাপনার ধরনও পাল্টে গেছে। একটা সময় যাঁরা টেলিভিশনে উপস্থাপনা করতেন, তাঁরাই ছিলেন উপস্থাপক। এখন পডকাস্টের যুগ। উপস্থাপনার জায়গাটাও তাই অনেক বিস্তৃত।

তাহসান জানালেন, তিনি দীর্ঘ সময় ধরে জন স্টুয়ার্ট, স্টিভেন কোলবার্ট ও ট্রেভর নোয়ার উপস্থাপনা দেখেছেন।

তাহসান বললেন, ‘এই তিনজনের উপস্থাপনা বেশি দেখেছি। এত সুন্দর করে জাতীয় ও জনপ্রিয় সব ইস্যু নিয়ে কথা বলেন, মনে হয় এন্টারটেইনমেন্টের সঙ্গে অনেক শিক্ষণীয়ও। আমাদের দেশে আমরা যেটা পারি না, শিক্ষণীয় হলে বেশি শিক্ষণীয় হয়ে যায়। আর এন্টারটেইনিং হলে বেশি এন্টারটেইনিং হয়ে যায়। যাঁরা সমাজ বদলাতে চান, তাঁরা এত বেশি উপদেশমূলক কথা বলে ফেলি যে মানুষের কাছে তা সেভাবে পৌঁছায় না। মানুষ আসলে উপদেশ শুনতে পছন্দ করে না। কারও আবার রসবোধ এত বেশি যে শিক্ষণীয় কিছুও থাকে না। মাঝামাঝি একটা জায়গায় থাকার ব্যাপারটা অবশ্য আমি এই তিনজনের কাছ থেকে শিখেছি।’

দেশের মধ্যে তিনজন উপস্থাপক তাহসানের প্রিয়। তাঁর মতে, হানিফ সংকেতই বাংলাদেশে ৩৫ বছর ধরে এন্টারটেইনমেন্ট ও শিক্ষণীয় বিষয়কে সুন্দরভাবে সমন্বয় করেছেন। ছোটবেলায় ফজলে লোহানীর উপস্থাপনা দারুণ লাগত। এরপর আব্দুন নূর তুষারও তাহসানের খুব পছন্দের।

ভোগান্তিতে দুমকী বিটিসিএলের গ্রাহকেরা, বন্ধ ইন্টারনেট সেবা

মোঃ রিয়াজুল ইসলাম | স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ১:৫১ অপরাহ্ণ
ভোগান্তিতে দুমকী বিটিসিএলের গ্রাহকেরা, বন্ধ ইন্টারনেট সেবা

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের(বিটিসিএল) নিম্মমানের সেবা ও ভোগান্তিতে অতিষ্ঠ হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার গ্রাহকরা।

টেলিফোন লাইনে মোটামুটি সংযোগ পাওয়া গেলেও গত বেশ কয়েক দিন ধরে বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট সেবা এমন অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা।

এতে একদিকে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছেন অপরদিকে বিটিসিএলের স্বল্প মূল্যের ইন্টারনেট সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন গ্রাহকেরা। এদিকে দুমকীতে বিটিসিএলের ২৫০ ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়ার সক্ষমতা থাকলেও তা কমতে কমতে এখন সংযোগ রয়েছে মাত্র ৩ টি।

এছাড়াও বিটিসিএলের কাঙ্খিত সেবা না পাওয়ার পেছনে কোনো গভীর ষড়যন্ত্র কাজ করছে কি-না তা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আহমেদ পারভেজ জানান, এতোদিন টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার পরে আজ আবার সংযোগ দিয়ে গেছে দুমকী বিটিসিএলের অফিস থেকে। ইন্টারনেট সেবা এখনো পাইনি।

উপজেলার ফোরসাইট মেডিকেল ইনিস্টিউটের পরিচালক সৈয়দ মজিবর রহমান টিটু অভিযোগ করে জানান, কিছু দিন আগে লাইনে একটা বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল। বারবার তাগাদা দিয়ে টেলিফোন লাইন সংযোগ পেলেও ইন্টারনেট সংযোগ দিতেই পারেনি। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেও তেমন কোন সারা পাচ্ছি না।

বিটিসিএলের জেলা কনিষ্ঠ সহকারী ব্যবস্থাপক(বহিঃ) মোঃ আজিমুল্লাহ হক তামিম বলেন, কপারের তারের লাইনের চেয়ে ফাইবার অপটিক্যাবলের লাইনে ইন্টারনেট সেবা উন্নত মানের। দুমকী উপজেলাকে সর্বোচ্চ ডিমান্ডিং এরিয়া উল্লেখ করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখতভাবে চাহিদা দেয়া হয়েছে।

তবে প্যানেল সমস্যার জন্য এমনটি হচ্ছে বলে একুশে বার্তাকে জানিয়েছেন বিটিসিএল বরিশালের উপ-মহাব্যবস্থাপক (টেলিকম) মো. শামীম ফকির। প্যানেল চেয়ে বিটিসিএলের ঢাকা অফিসে দ্রুতই চাহিদা পাঠানো হবে এবং প্যানেলটি আসলে ইন্টারনেট সেবা পূর্বের মত পাওয়া যাবে বলে জানান এই কর্মকর্তা। ইন্টারনেট সেবার মানোন্নয়নে কোন ষড়যন্ত্র কাজ করছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে এটা সত্য নয়। আধুনিক টেকনোলজির সাথে আসলে ব্যাকডেটেড কপারের লাইনের সাথে যায় না। 

প্রসঙ্গত, ১৯৯৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তৎকালীন ধর্ম মন্ত্রী এম কেরামত আলী দুমকী টেলিফোন এক্সচেইঞ্জের নূতন ভবনের উদ্ভোদন করেন। গ্রাহক সেবা উন্নত এবং আরও সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলকে সাতটি ভাগে বিভক্ত করে ২১ জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়ে গত বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি ‘র‌্যাপিড রেসপন্স টিম’ নামে একটি টিম তৈরি করা হয়েছে। যার মধ্যে ৫ নম্বরে রয়েছে বরিশাল বিভাগ। এ টিম গ্রাহকদের যে কোনো প্রকার অভিযোগ দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমাধান করার জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করবে বলে প্রতিশ্রুতি রয়েছে।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ

মাসুদুর রহমান, দিনাজপুর প্রতিনিধি।
প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ১১:০৫ পূর্বাহ্ণ
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ

আজ ২৬ মার্চ ২০২৫ খ্রি. সকাল ০৬:০৩ ঘটিকায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন দিনাজপুর জেলার সন্মানিত পুলিশ সুপার জনাব মোঃ মারুফাত হুসাইন মহোদয়।

এ সময়ে জেলা পুলিশের চৌকস্ দল ৩১ বার তোপধ্বনি প্রদানের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের শুভ সূচনা করা হয় ।

১৯৭১ সালে বাঙালির উপর নেমে আসা পাহাড় সমান বিপদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে “প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ” তৈরী করার দুঃসাহসী নজির স্থাপন করে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের বাঙালি পুলিশ বাহিনী, যাকে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ হিসেবে ইতিহাস সাক্ষ্য বহন করে। গর্বিত পুলিশ সদস্যের এই সাহসী পদক্ষেপটাকেই এই ভাস্কর্যের বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জনাব আব্দুল্লাহ আল মাসুম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), জনাব মোঃ আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্), জনাব সিফাত-ই-রাব্বান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি), জনাব মোঃ মোসফেকুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক এন্ড এস্টেট), দিনাজপুরসহ জেলা পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

যশোর রোডের আর্তনাদ: একাত্তরের বিভীষিকার জীবন্ত প্রতিচ্ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০২৫, ১১:৪৬ অপরাহ্ণ
যশোর রোডের আর্তনাদ: একাত্তরের বিভীষিকার জীবন্ত প্রতিচ্ছবি

কবি লতিফুর রহমানের “যশোর রোডের আর্তনাদ” কবিতাটি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের ভয়াবহতা ও মানুষের অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টের এক মর্মস্পর্শী চিত্র। কবিতাটি শুধু একটি পথের বর্ণনা নয়, বরং এটি সেই সময়ের বাস্তুচ্যুত, শরণার্থী মানুষের হাহাকার এবং বেঁচে থাকার আকুলতার এক জীবন্ত দলিল।

যশোর রোডের আর্তনাদ- কবি লতিফুর রহমান

যশোর রোডের ধুলোমাখা পথ, বেদনার এক নদী,
শত শত চোখ আকাশে খোঁজে, মুক্তির এক পরিধি।
বাঁশের ছাউনি, কাদা আর জল, জীবনের এক খেলা,
মরা ঈশ্বর আকাশে বসে, দেখে শুধু অবহেলা।

ঘরছাড়া মানুষ, চোখে নেই ঘুম, যুদ্ধের কালো ছায়া,
বোমারু বিমান মাথার ওপরে, কবে এই রাত ফুরায়?
একাত্তরের মুখগুলো সব, কত কথা যায় বলে,
আধমরা পায়ে পূর্ব বাংলা, কলকাতা আজও চলে।

সেপ্টেম্বরের পিচ্ছিল পথে, গরুর গাড়ির সারি,
লক্ষ মানুষ ভাতের খোঁজে, শোকে কাঁদে নারী।
রিফিউজি ঘরে শিশুর কান্না, ফোলা পেটের জ্বালা,
দিশেহারা মা কার কাছে যাবে, কে দেবে তার সাড়া?

যুদ্ধ আর মৃত্যু, তবু স্বপ্ন দেখে, ফেলে আসা সুখের মাঠ,
ভাতের কথা, ত্রাণের আশা, কে শুনে কার আর্তনাদ?
ক্ষতবিক্ষত শরীর নিয়ে, বেঁচে থাকা এক ধাঁধা,
আধপেটা শিশু মায়ের কোলে, কেমন এ জীবন বাঁধা?

ছোট ছোট পায়ে মৃত্যুর ছায়া, গুলির চিহ্ন বুকে,
ঘর ছাড়া মাটি মিছে মায়া, বাঁচার স্বপ্ন রুখে।
যশোর রোডের ধারে ধারে, এত কেন মরে লোক?
ছেঁড়া সংসার, এলোমেলো সব, বেদনার এই শোক।

শত শত চোখ আকাশে দেখে, মরে যাওয়া শিশুর দল,
যশোর রোডের যুদ্ধক্ষেত্রে, সব যেন এলোমেলো জল।
কাদামাখা মানুষ আকাশে খোঁজে, মরা ঈশ্বরের দেখা,
নালিশ জানাবে কাকে তারা, কে দেবে তাদের রেখা?