খুঁজুন
শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫, ৩ শ্রাবণ, ১৪৩২

মাদারীপুরে বালু ব্যবসা নিয়ে বিরোধ: প্রতিপক্ষের হামলায় তিন ভাই নিহত

মাদারীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫, ২:৪৫ পূর্বাহ্ণ
মাদারীপুরে বালু ব্যবসা নিয়ে বিরোধ: প্রতিপক্ষের হামলায় তিন ভাই নিহত

মাদারীপুরে তিন ভাইকে কুপিয়ে হত্যার পরে লাশ হাসপাতালে নেওয়ার সময়

মাদারীপুরে বালুর ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় তিন ভাই নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের সরদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় হামলায় আরও দুজন গুরুতর আহত হন।

নিহতরা হলেন আতাউর রহমান সরদার ওরফে আতাবুর (৩৫), সাইফুল ইসলাম ওরফে হিটার সাইফুল (৩০) এবং তাঁদের চাচাতো ভাই পলাশ সরদার। আতাউর ও সাইফুল সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের সরদার বাড়ি এলাকার বাসিন্দা আজিবর সরদারের ছেলে। সাইফুল খোয়াজপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। পলাশ একই এলাকার মুজাম সরদারের ছেলে।

হামলার সময় প্রতিপক্ষের লোকজন বসতঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গুরুতর আহত দুজন হলেন তাজেল হাওলাদার (১৮) ও অলিল সরদার (৪০)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি সদর উপজেলার খোয়াজপুর টেকেরহাট এলাকার মোল্লা বাড়ি ও সরদার বাড়ির মাঝামাঝি স্থানে বালু তোলা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরই জেরে শনিবার সকালে মোল্লা বাড়ির লোকজন দেশীয় অস্ত্রসহ সরদার বাড়িতে হামলা চালায়। প্রতিপক্ষের হামলা থেকে রক্ষা পেতে সাইফুল ও তাঁর দুই ভাই বাড়ির সামনে একটি মসজিদে আশ্রয় নেন। পরে হামলাকারীরা মসজিদের ভেতরে ঢুকে তিন ভাইকে কুপিয়ে জখম করে। তাঁদের উদ্ধার করতে গেলে আরও দুজন হামলার শিকার হন। হামলাকারীরা আতাউর ও সাইফুলের বসতঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আতাউর ও সাইফুলের মরদেহ উদ্ধার করে এবং বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাদারীপুরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এর আগে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে পলাশ মারা যান।

মাদারীপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক নাহিদা আক্তার জানান, হাসপাতালে দুজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। এছাড়া আহত তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছিল, যাঁদের শরীরে ধারালো অস্ত্রের গভীর জখম ছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহত আতাউর সরদারের স্ত্রী মাহামুদা বেগম স্বামী ও দেবরের মরদেহ নিয়ে হাসপাতালে আসেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার স্বামীর কী দোষ ছিল? সে তো সবার উপকার করত! শাজাহান মোল্লা, হাসান সরদার, হোসেন সরদার মিলে আমার স্বামী ও দেবরকে হত্যা করেছে। আমাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।’

নিহতদের বড় ভাবি রোজিনা বেগম বলেন, ‘মোল্লা বাড়ির লোকজন আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। আমার স্বামী ও দুই দেবরকে কুপিয়েছে। আমার দুই দেবর মারা গেছে, স্বামীর অবস্থাও সংকটাপন্ন। সব শেষ হয়ে গেল।’

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ভাস্কর সাহা দুপুর দেড়টায় বলেন, ‘সাইফুল এর আগে ওই এলাকায় দুই বালু ব্যবসায়ীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে পা ভেঙে দিয়েছিল। এ ঘটনার জেরে ওই ব্যবসায়ীরা ও এলাকার কিছু আধিপত্য বিস্তারকারী ব্যক্তি একত্রিত হয়ে সাইফুল ও তাঁর ভাইদের ওপর হামলা চালায়। প্রাণ বাঁচাতে তাঁরা মসজিদে আশ্রয় নিলে হামলাকারীরা সেখানে গিয়ে তাঁদের কুপিয়ে হত্যা করে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পর্যন্ত দুজনকে আটক করা হয়েছে, বাকি হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

পরে বিকেলে ভাস্কর সাহা আরও জানান, ‘ঢাকায় নেওয়ার পর আরও একজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। তবে নিহতের পরিবার থেকে এখনো পুলিশকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। প্রথম দুজন যে আপন ভাই, সেটি নিশ্চিত হওয়া গেছে।’

দিনাজপুরে জেলা যুবদলের আয়োজনে একটি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়

মাসুদুর রহমান, দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি।
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫, ৯:১৫ অপরাহ্ণ
দিনাজপুরে  জেলা যুবদলের আয়োজনে একটি বিক্ষোভ মিছিল ও  সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়

১৭ জুলাই ২০২৫ বেলা ৫ ঘটিকার সময় সরকারের ‘নির্লিপ্ততায়’ সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার ‘ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে’ দিনাজপুর জেলা যুবদলের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে লিলি মোড়, বুটিবাবুর মোড়, মুন্সিপাড়া, মডার্ন মোড় থেকে ঘুড়ে এসে আবার দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিবাদ সমাবেশ।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা যুবদলের আহবাহক- এ কে এম মাসুদুল ইসলাম, সঞ্চালনা করেন মো: রেজাউল রহমান রেজা সদস্য সচিব।
তারা বলেন দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সকলকে একসাথে কাজ করা ও দেশের সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে।

উপস্থিত ছিলেন বখতিয়ার আহমেদ কচি জেলা বিএনপি সাধারন সম্পাদক ( স্থগিত), সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান বাদশা, মোন্নাফ মুকুল জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি, তোশা জেলা বিএনপি সহ-সভাপতি, মজিবর রহমান মজিব কৃষক দলের সদস্য সচিব, বাবু চৌধুরী প্রচার সম্পাদক আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক মো. নুর আলম হক খোকন, মো. মাসুদ রানা, মো. রবিউল আলম শামীম, মো. শহীদুল ইসলাম সাজু, মো. শামীম আখতার শামীম, মো. ফরিজার রহমান তপু, মো. মিজানুর রহমান মুকুল, মো. আনোয়ার হোসেন খোকন, মো. মিজানুর রহমান সাজু, মো. মাসুম রেজা পলাশ, মো. নজরুল ইসলাম খোকা, মো. গোলাম মুর্শেদ খান রাজন, মো. খায়রুল হাসান, মো. কাদের খান জনি, মো. আব্দুল্লাহ আল মুরাদ মুন্না, মো. নবাব আলী ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

ফাতিন আহনাফের স্বপ্নের পাশেই থাকবেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল

নেত্রকোণা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫, ৮:২৯ অপরাহ্ণ
ফাতিন আহনাফের স্বপ্নের পাশেই থাকবেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল

চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে সেরা হবার গৌরব অর্জন করে দুর্গাপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাতিন আহনাফ। কৃতি এই শিক্ষার্থীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তার পক্ষ থেকে এই কৃতি শিক্ষার্থীকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বার্তা এবং দশ হাজার টাকার প্রাইজবন্ড উপহার দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ ফাতিন আহনাফের বাড়িতে গিয়ে ব্যারিস্টার কায়সার কামালের উপহার পৌঁছে দেন। এসময় তারা এই শিক্ষার্থীর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন।

ফাতিন আহনাফ দুর্গাপুর উপজেলার কাকৈরগড়া গ্রামের লুৎফর রহমান ও উম্মে কাউসার দম্পতির কন্যা। সে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অংশগ্রহণ করে ১৩০০ নম্বরের মধ্যে ১২১৬ নম্বর পেয়ে গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ অর্জন করে। তার এই অসাধারণ সাফল্যে বিদ্যালয়ের শিক্ষক,শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক মহলে আনন্দের জোয়ার বয়ে যায়।

ফাতিন জানান,তার এই অর্জনের পেছনে শিক্ষকবৃন্দ এবং তার অভিভাবকদের বড় ভূমিকা রয়েছে। তাদের কল্যাণেই এই ফলাফল অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। ভবিষ্যতে সে ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চায়।

এই কৃতি শিক্ষার্থীর বাবা লুৎফর রহমান বলেন,ফাতিনের এই অর্জনে আমরা সকলেই আনন্দিত,আপ্লুত। তাকে সম্মাননা জানানোর জন্য ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সাহেবকে আমরা আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। বড় মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে এটি তাকে অনেক অনুপ্রেরণা যোগাবে।

এসময় বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেন,ফাতিন আহনাফের সেরা ফলাফলে আমরা খুবই আনন্দিত। সে আমাদের গর্ব। এই কৃতি শিক্ষার্থীর স্বপ্নের পাশেই থাকবেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি জহিরুল আলম ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়াল, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারেজ গণি, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ জিন্নাহ, সাবেক সহ সভাপতি অধ্যক্ষ শহীদুল্লাহ খান,সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিএনপি নেতা এডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ইউসুফ খান সহ বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

অনার্স-মাস্টার্সে প্রথম, তবুও ভাইভায় ডাক মেলেনি আজমলের

মীর তুহিন, রাবি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫, ৮:১৭ অপরাহ্ণ
অনার্স-মাস্টার্সে প্রথম, তবুও ভাইভায় ডাক মেলেনি আজমলের

(more…)