মহেশখালীর কৃতি সন্তান নুরুল আজিম: ক্রীড়াঙ্গনে গৌরবোজ্জ্বল যাত্রা ও অবদান

মহেশখালীর কৃতি সন্তান নুরুল আজিম: ক্রীড়াঙ্গনে গৌরবোজ্জ্বল যাত্রা ও অবদান
মহেশখালীর গর্ব মো: নুরুল আজিম তার কর্মজীবন ও ক্রীড়াঙ্গনে অসাধারণ সাফল্যের জন্য দেশজুড়ে প্রশংসিত। তিনি বাংলাদেশের বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) একজন সম্মানিত কর্মকর্তা ছিলেন এবং কুস্তি খেলায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একাধিক পদক অর্জন করেছেন।
পারিবারিকভাবে তিনি এমপি ও চট্টগ্রাম জেলা উন্নয়ন সমন্বয়কারী মরহুম রশীদ মিয়ার আপন বড় ভাই মরহুম আবুল খায়ের মাস্টারের সন্তান। তাঁর বড় ভাই মরহুম নুরুল আবছার (বিসিএস) বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা ছিলেন, আর মেজ ভাই মরহুম নুরুল ইসলাম ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ।
নুরুল আজিমের শিক্ষাজীবন শুরু হয় পিলখানা বিডিআর একাডেমিতে, যেখানে তিনি উচ্চশিক্ষায় গভীর আগ্রহ প্রদর্শন করেন। ১৯৭৬ সালের ২৬ জুলাই তিনি বিডিআরে যোগ দেন এবং ল্যান্স নায়েক, নায়ক এবং অবশেষে হাবিলদার পদে উন্নীত হন।
একজন কৃতি কুস্তিগীর হিসেবে তিনি বাংলাদেশ অলিম্পিকে স্বর্ণপদক (১৯৮০) অর্জন করেন। জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় তিনি একাধিক স্বর্ণপদক (১৯৮১, ১৯৮৩) এবং রৌপ্যপদক (১৯৮২, ১৯৮৪) লাভ করেন। ১৯৮৬ সালে লাহোর, পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কুস্তি প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন।
১৯৮৮ সালে চতুর্থ বাংলাদেশ গেমসে তিনি স্বর্ণপদক জয় করেন এবং ১৯৮৯ সালে দক্ষিণ এশিয়ান ফেডারেশন (সাফ) গেমসের কুস্তি প্রতিযোগিতায় তৃতীয় হন।
পেশাগত জীবনের শেষ পর্যায়ে তিনি বিডিআরের হাবিলদার পদে দায়িত্ব পালন করেন, যেখানে তিনি একজন আদর্শ সৈনিক ও নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
নুরুল আজিমের অবদান তার কর্মজীবনের গণ্ডির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; তিনি তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন। ক্রীড়াঙ্গনে তার অসামান্য সাফল্য মহেশখালীর মানুষের জন্য গর্বের বিষয় এবং জাতীয় ক্রীড়া উন্নয়নে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।