ফেসবুকের কমেন্ট দেখে বিচার হলে খু’নি এনামকে গতকালকে পুলিশ ছেড়ে দিতে বাধ্য হতো : রাশেদুল আলম

ফেসবুকের কমেন্ট দেখে বিচার হলে খু’নি এনামকে গতকালকে পুলিশ ছেড়ে দিতে বাধ্য হতো : রাশেদুল আলম
ডিপ্লোমা ইন ল (ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন
এলএলবি অনার্স (অধ্যয়নরত) শিক্ষার্থী রাশেদুল আলম লিখেছেন….
হুবহু তুলে ধরা হল…
ও-ই সমস্ত বোকারা এটা চিন্তা করে না যে তার বিরুদ্ধে কীভাবে ৩৯ টি মামলা হলো? যেখানে হত্যা,হত্যা চেষ্টা,মাদক, মানি লন্ডারিং মানব পাচার, ৫’ই আগস্ট ছাত্র জনতার মিছিলে হামলা, র্যাবের বিরুদ্ধে সরাসরি বন্দুক যুদ্ধ করা সহ কত অভিযোগ। এসব অভিযোগ কি মিথ্যে? আমি বুঝি না তাদের বিবেক কি এতটাই জর্জরিত হয়ে গেছে যে কোনটি ভালো কোনটি খারাপ তা-ও তারা ফারাক করতে পারছে না?
আচ্ছা ২৬’ই নভেম্বর ২০২২ ইং তখন কোথায় ছিলেন আপনারা? যখন আমার পিতার দু হাত কেটে নেওয়ার পরও মামলা নিতে কত গড়িমসি করেছে প্রশাসন? আমি নিজে উক্ত মামলার বাদী বলে আমি জানি কত কষ্ট করে মামলাটি করেছি। অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার পর মামলা করতে সক্ষম হলেও সকল সাক্ষী প্রমাণ, সরাসরি ভিডিও সিসিটিভি ফুটেজ থাকলে তৎকালীন প্রশাসন তাকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করে নি। কোনো এক অদৃশ্য শক্তি বলে সে বেচে গেছে।
সেই ২৬/১১/২০২২ থেকে গত ২১/৩/২০২৫ পর্যন্ত সে পলাতক ছিল। শুধু পলাতক থেকে সে ক্রান্ত হয় নি, মাঝেমধ্যে ফেসবুক লাইভে এসে উলটো আমার ২ ভাইয়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত থাকতো। শুধু ধৈর্য ধরে বসেছিলাম কবে তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করব সে আশায়।
আরেকটি বড় খবর হচ্ছে, উক্ত মামলা এখন বিচারাধীন, আশা করছি খুব দ্রুত সময়ে উক্ত মামলা শেষ করে আমার পিতার দু হাত কর্তনকারী এনাম সহ তার গ্যাং এর সকল সদস্যদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে পারব।
হয়ত অনেকে জানেন না, এ এনামকে গ্রেপ্তার করতে স্বয়ং চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশ ও কতবার চেষ্টা করেছে। এবার ভাবুন পুরো চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশ ও তাকে গ্রেপ্তার করতে তৎপর ছিল। শুধু তৎপর নয় প্রায় ১২ এর অধিক বার অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। বর্তমান র্যাব ১৫ ও প্রায় ১৫ বারের অধিক অভিযান পরিচালনা করে এনামকে গ্রেপ্তার করতে। সর্বশেষ গত ২১/০৩/২০২৫ ইং আনুমানিক বিকেল ০৩:০৮ এর দিকে নৌবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
পরিশেষে নৌবাহিনী ও টেকনাফ থানা পুলিশের সকল সদস্যকে অসংখ্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। বিশেষ করে টেকনাফ থানার ওসি জনাব গিয়াস উদ্দীন যিনি আসার পর থেকে টেকনাফের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে, উনার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির কারণে মাদকের যে বদনাম টেকনাফকে নিয়ে আছে তা-ও হ্রাস পাচ্ছে।
যাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় একজন মোস্ট ওয়ান্টেড আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি তাদের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞতা!