খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫, ২৬ কার্তিক, ১৪৩২

পাথরঘাটায় মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে বিএনপি’র নেতাকর্মীর সংবাদ সম্মেলন

মাহামুদুর রহমান রনি, বরগুনা জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সোমবার, ৩ মার্চ, ২০২৫, ৭:০১ অপরাহ্ণ
পাথরঘাটায় মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে বিএনপি’র নেতাকর্মীর সংবাদ সম্মেলন

পাথরঘাটায় মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে বিএনপি'র নেতাকর্মীর সংবাদ সম্মেলন। ছবি মাহামুদুর রহমান রনি

বরগুনার পাথরঘাটা যুবদল নেতা নাসির হত্যা মামলায় আব্দুস সালামকে আসামি করায় ক্ষুব্ধ হয়ে পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীসহ ২৪ জনের নামে ধান কাটা মামলা করার অভিযোগ উঠেছে সালামের স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে সোমবার বেলা সাড়ে বারোটায় পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীরা।

এর আগে ২৬ জানুয়ারী বরগুনা দ্রুত বিচার আদালতে ও ২৯ জানুয়ারী পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একই ঘটনা উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন আব্দুস সালামের স্ত্রী ফারজানা। উভয় মামলার একই ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ মুবিন।

আব্দুস সালাম পাথরঘাটার চরদুয়ানী ইউনিয়নের মঠেরখাল এলাকায় মৃত আব্দুল কাদের মিয়ার ছেলে। তিনি পাথরঘাটা উপজেলা যুবদল নেতা হত্যা মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি। বর্তমানে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে মামলার আসামি পাথরঘাটা পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মামুন জানান, আব্দুস সালাম ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর সাইদুল ইসলাম সুমন নামে এক ব্যক্তি পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জমি জমা সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগ করেন। অভিযোগের বিষয়টি আমাকে মিমাংসার দায়িত্ব দেন ইউএনও মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান খান। আমি সালামসহ অন্যদের কয়েক দফা বৈঠকের নোটিশ দিয়েও বসাতে পারিনি। এরমধ্যেই আমি সহ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের দায়িত্বশীল নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে সালামের স্ত্রী ফারজানা।

আরেক আসামি পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আরাফাত রহমান ওভি বলেন, যুবদল নেতা নাসির হত্যার বিচার চেয়ে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করলে আমাকে ও আমার বাবাকে আসামি করেছে।

সালামের হয়রানি মুলুক একাধিক মামলায় ভুক্তভোগী কালমেঘা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আইউব আলী সংবাদ সম্মেলনে জানান, পৌরসভার নয় নম্বর ওয়ার্ডে আমি একটি ক্যাডেট মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করায় আমার বিরুদ্ধে ৫টি, মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৮টি সহ একাধিক শিক্ষকের নামে আব্দুস সালাম ও তার আত্মীয় স্বজনদের মাধ্যমে মামলা করিয়েছে। সব শেষ বুধবার ধান কাটা মামলায় আমি সহ আমার মাদ্রাসার শিক্ষকে আসামি করেছে।

স্থানীয়রা জানান, আব্দুস সালাম এলাকায় মামলা সালাম ও ব্যারিস্টার সালাম নামে পরিচিত। তিনি মানুষকে সামান্য বিষয় নিয়ে প্রায় দুই শতাধিক মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এ মামলা বানিজ্যে তিনি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, পৌর বিএনপির সদস্যসচিব ইসমাইল শিকদার এসমে, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী আব্দুল্লাহ আল মামুন, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউর রহমান ফাহিম, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান আল বকর মেসাল প্রমুখ।

পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ ফারুক জানান আব্দুস সালাম পাথরঘাটায় মামলা বাজ সালাম হিসেবে পরিচিত। তিনি নিজে ও তার আত্মীয় স্বজনদের মাধ্যমে নিরিহ মানুষদের হয়রানি করে আসছে। গত পহেলা জানুয়ারি দলীয় প্রোগ্রাম শেষে বাড়ি ফেরার পথে যুবদল নেতা নাসির হত্যা মামলার ইজহার ভুক্ত আসামি এই মামলা বাজ সালাম। যুবদল নেতা হত্যা মামলার আসামি হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে পাথরঘাটা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলায় আসামি করেছে। আমরা নাসির হত্যা মামলায় দ্রুত সালামকে গ্রেফতারের দাবি করছি।

তিনি আরো জানান, বিএনপির নেতাকর্মীরা এঘটনায় জড়িত নয়। বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে আব্দুস সালামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে আত্মগোপনে থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এবিষয়ে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ মেহেদী হাসান জানান, যুবদল নেতা নাসির হত্যা মামলায় আব্দুস সালাম এজহার নামীয় আসামি। সে পালাতক রয়েছে। সালামের স্ত্রী ফারজানা বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে যে মামলা করেছে তা তদন্তে রয়েছে।

অধিকার আদায়ের ডাক — এনটিআরসিএর বিরুদ্ধে মাঠে নামছে ১ম–১২তম নিবন্ধনধারীরা

মোঃ শফিকুল ইসলাম (মাগুরা সদর)
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ৯:১২ অপরাহ্ণ
অধিকার আদায়ের ডাক — এনটিআরসিএর বিরুদ্ধে মাঠে নামছে ১ম–১২তম নিবন্ধনধারীরা

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের উদ্দেশ্যে যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রণয়ন, নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন করার দায়িত্বে গঠিত বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। কিন্তু বৈধ সনদপ্রাপ্ত (১ম থেকে ১২তম) নিবন্ধনধারীরা দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ বঞ্চনার শিকার।

এই বঞ্চনার প্রতিবাদে আসছে ৯ নভেম্বর শাহবাগে আবারও কঠোর আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন নিবন্ধনধারীরা।

তাদের অভিযোগ, বারবার মনগড়া নিয়ম প্রণয়ন করে নিবন্ধনধারীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে এনটিআরসিএ এসব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আয় করছে কোটি কোটি টাকা। একাধিক ধাপে আবেদন করতে হয় প্রার্থীদের, প্রতিটি ধাপেই দিতে হয় আলাদা ফি—ফলে হাজার হাজার টাকা খরচ হয় একজন প্রার্থীর।

২০১৪ সালে এনটিআরসিএ থেকে বৈধ সনদপ্রাপ্ত মো. মামুন ইসলাম জানান,

> “তিন বছর ধরে অপেক্ষা করছি। টেবিল টেবিল ঘুরেছি। এমনকি এক সহকর্মী মিতা নিজের স্বর্ণের চেন বিক্রি করে আবেদন করেছে। তারপরও কোনো সুরাহা হয়নি।”

নির্বাহী কমিটির সদস্য আমির আসহাব জানান,

তাদের দাবি, গণবিজ্ঞপ্তির আবেদনে এনটিআরসিএ প্রায় ২০৩ কোটি টাকা আয় করেছে—কিন্তু তার বিনিময়ে প্রার্থীরা পাচ্ছেন না ন্যায্য নিয়োগ। নিবন্ধনধারীদের ভাষায়, “এনটিআরসিএর নিয়মগুলোই যেন এক একটি ফাঁদ।”

বছরের পর বছর ধরে চলমান এই বঞ্চনা ও বৈষম্যের প্রতিবাদে ১–১২তম নিবন্ধনধারীরা একাধিকবার মানববন্ধন, অনশন ও আন্দোলন করেছেন। ২০২১ সালের ৮ অক্টোবর প্রেসক্লাবে মানববন্ধনের মাধ্যমে শুরু হয় তাদের আন্দোলন। এরপর প্রায় ২০০ দিন অনশন ও রাতযাপন কর্মসূচি পালন করেছেন শাহবাগ ও শহীদ মিনারে।

তাদের আন্দোলনে জলকামান ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটেছে, তবুও তারা পিছু হটেননি। বারবার আশ্বাস পেলেও বাস্তবে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
নির্বাহী কমিটির সদস্য জিএম ইয়াছিন নিবন্ধনধারীদের পক্ষে দাবি উপস্থাপন করে বলেন
“আমরা বৈধ সনদপ্রাপ্ত শিক্ষক। আমাদের নিয়োগ না দেওয়া সরাসরি বৈষম্য ও অবিচার। আমরা চাই শিক্ষা ক্ষেত্রের বৈষম্য দূরীকরণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ।”আগামী ৯ নভেম্বরের মহাসমাবেশে শিক্ষকরা জানাচ্ছেন, এবার তাদের আন্দোলন শেষ লড়াইয়ের ঘোষণা হয়ে আসবে।

বেঁচে থাকার কঠিন যুদ্ধে রিফাত, চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিলেন কায়সার কামাল

নেত্রকোণা জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:৩০ অপরাহ্ণ
বেঁচে থাকার কঠিন যুদ্ধে রিফাত, চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিলেন কায়সার কামাল

নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত হরিণাকুড়ি গ্রামের রিফাত জন্মের পর থেকেই থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। রিফাতের বাবা আলম মিয়া একজন সাধারণ শ্রমজীবী। তার সীমিত আয় দিয়ে সংসার চালাতেই হিমসিম খেতে হয়। তাই রিফাতের উন্নত চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছিলো না। দিন দিন রিফাতের শারিরীক অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছিলো।

এবার রিফাতের জন্য মানবতার হাত বাড়ালেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তিনি ১৪ বছর বয়সী রিফাতের চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিয়েছেন। সোমবার (৫ নভেম্বর) এই কিশোরকে ঢাকার পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রিফাতের বাবা আলম মিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে রিফাতকে প্রতি মাসে রক্ত দিতে হচ্ছে। সাম্প্রতিক পরীক্ষায় জানা যায়, তার লিভারে একটি অস্ত্রোপচার প্রয়োজন, যা সম্পন্ন হলে সে সুস্থ হয়ে উঠবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

রিফাতের পারিবারিক সূত্র জানায়, বেঁচে থাকার যুদ্ধটা যখন রিফাতের জন্য কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছিলো এবং তার জীবন প্রদীপ নিভে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছিলো ঠিক তখনই অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

বর্তমানে ঢাকার পিজি হাসপাতালে ডা. শাহীনের তত্ত্বাবধানে রিফাতের চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকরা জানান, থ্যালাসেমিয়া রোগের চলমান ট্রিটমেন্টের মধ্যে এখন জরুরি ভিত্তিতে তার লিভারের অপারেশন করতে হবে।

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, জটিল রোগ থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রিফাত যেন সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে, তার সমস্ত চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। আসুন সবাই দোয়া করি রিফাতের সফল অপারেশনের জন্য। মানবতার সেবায় আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।

এই মানবিক উদ্যোগ নেয়ায় স্থানীয় জনসাধারণ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ব্যারিস্টার কায়সার কামালের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

কুড়িগ্রামে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শনিবার, ১ নভেম্বর, ২০২৫, ১:৩৭ অপরাহ্ণ
কুড়িগ্রামে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও সমাবেশ

কুড়িগ্রামে সাংবাদিকদের ২১দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার (১লা নভেম্বর) সকাল ১১টায় কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মোড়ে মানববন্ধন ও সমাবেশের আয়োজন করেন কুড়িগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেজিইউজে)।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সাংবাদিকদের নূন্যতম বেতন ৩৫ (পয়ত্রিশ) হাজার টাকা, সাগর-রুনী হত্যাসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার, নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন, দশম ওয়েজ বোর্ড গঠন, চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের চাকুরিতে পুনর্বহালসহ ২১ দফা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান।

তাঁরা আরো বলেন, অনতিবিলম্বে সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর – রুনী হত্যাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাংবাদিকদের উপর হামলা ও হত্যার বিচার করতে হবে।

মানববন্ধন ও সমাবেশে কুড়িগ্রাম জেলার নয়টি উপজেলার সকল ইলেক্ট্রিনক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন।