খুঁজুন
সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৫, ২৫ কার্তিক, ১৪৩২

রাকসু নির্বাচন

নির্বাচনী বিতর্কে নানা প্রতিশ্রুতি ভিপি- জিএস প্রার্থীদের

ত্বাসীন সিদ্দিকা রূপা
প্রকাশিত: রবিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৩৮ অপরাহ্ণ
নির্বাচনী বিতর্কে নানা প্রতিশ্রুতি ভিপি- জিএস প্রার্থীদের

রাজনৈতিক সচেতন ও গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস গড়ে তোলা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি করা, ফ্যাসিবাদী নীতির বাইরে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক জায়গাকে নতুনভাবে গড়ে তোলা, শিক্ষার্থীদের মৌলিক চাহিদার বাস্তবায়ন, শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতা, গবেষণা, নতুন নতুন উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির প্রতি উদ্বুদ্ধ করাসহ নির্বাচনী বিতর্কে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাকসু নির্বাচনের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থীরা।

শনিবার (১১ অক্টোবর) বিকেল ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে এই নির্বাচনী বিতর্ক অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন রাকসু প্রধান নির্বাচন কমিশনার। রাকসু নির্বাচন নিয়ে রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং ফোরামের (আরইউডিএফ) সহযোগিতায় এই বিতর্কের আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন।

বির্তকের প্রথম সেশনে রাকসুর ৯ জন ভিপি পদপ্রার্থীদের নিয়ে চারটি ধাপের মধ্যে দিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। প্রথম ধাপে সব প্রার্থী তারা নির্বাচিত হলে কী করবেন?, দ্বিতীয় ধাপে তিনটি প্রশ্নের উত্তর, তৃতীয় পর্বে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্ব এবং সবশেষে ছিল কনক্লুশন। এরপর দ্বিতীয় সেশনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থীদের নিয়ে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।

বিতর্কে অংশ নিয়ে ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, “আমরা যে প্যানেলটি গঠন করেছি সেটি একটি ইনক্লুসিভ প্যানেল। চাইলে শুধু ছাত্রশিবিরের সদস্যদের নিয়েই প্যানেল গঠন করতে পারতাম, কিন্তু আমরা তা করিনি—বরং বিভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করে প্যানেল দিয়েছি। আমাদের প্যানেলে যেমন ‘জুলাই আন্দোলনে আহত যোদ্ধা’ আছেন, তেমনি আছেন নারী প্রার্থীও। আমরা যে ইশতেহার প্রকাশ করেছি, তা ১২ মাস মেয়াদী হলেও ইনশাআল্লাহ ৬ থেকে ৭ মাসেই অধিকাংশ লক্ষ্য বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।”

বাম সমর্থিত ‘গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদ’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী ফুয়াদ রাতুল বলেন, “রাকসুকে আমরা গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস গড়ে তোলার এক গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে দেখি। জুলাই আন্দোলনেও আমরা ছাত্রলীগের সন্ত্রাস ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছিলাম। নির্বাচিত হলে শিক্ষার্থীদের আবাসন ও খাদ্যসংকট নিরসন, সাইবার বুলিং প্রতিরোধ সেল গঠন এবং রাকসুকে একটি ছায়া সংগঠন হিসেবে সক্রিয় রাখার উদ্যোগ নেব। আমাদের লক্ষ্য একটি ভয়ভীতিহীন, গণতান্ত্রিক ও অংশগ্রহণমূলক বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ তৈরি করা।”

রাকসু নির্বাচনে একমাত্র নারী ভিপি প্রার্থী তাসিন খান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে সচেতন শিক্ষার্থীদের জায়গা। তাই আমরা শিক্ষার্থীদের মন জয় করতে মুখরোচক ইশতেহার দিইনি। রাকসুর মাধ্যমে যেগুলো বাস্তবায়নযোগ্য, সেগুলোই রেখেছি আমাদের ঘোষণায়।
আমাদের ১২টি বাস্তবসম্মত ইশতেহারের মূল লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের বাস্তব সমস্যার সমাধান। নির্বাচিত হলে আবাসন সংকট দূরীকরণ, ভর্তি নীতিমালা সহজীকরণ, শিক্ষকদের জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ এবং সবচেয়ে বড় বিষয়—এবারের রাকসুর মাধ্যমে উপাচার্য নির্বাচন পুনরায় চালু করা।”

রাকসু ফর র‍্যাডেক্যাল চেইঞ্জ প্যানেলের
ভিপি প্রার্থী মেহেদী মারুফ বলেন,
“রাকসুর মাধ্যমেই আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক এক্সিলেন্স বা শিক্ষার উৎকর্ষতা অর্জন করতে পারি। এজন্য দায়বদ্ধতা ও স্বচ্ছতার পরিবেশ তৈরি করতে চাই। আমি বিশ্বাস করি, শিক্ষার্থীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, প্রশাসনের জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ এবং রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত একাডেমিক পরিবেশ গড়ে তোলার মাধ্যমে রাকসুকে প্রকৃত অর্থে সক্রিয় করা সম্ভব।”

স্বতন্ত্র ভিপিপ্রার্থী নোমান ইমতিয়াজ বলেন, “রাকসু একটি অরাজনৈতিক সংগঠন হওয়া উচিত। আমার একমাত্র প্রতিশ্রুতি হলো—শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিত্তিতে নয়, বরং যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ হতে হবে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার অনুকূল পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হলে প্রথমেই আবাসন সমস্যার সমাধান জরুরি।”

ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশের) সভাপতি ভিপি পদপ্রার্থী মাসুদ কিবরিয়া বলেন,
“আমার মতে, প্রতিটি নির্বাচনই রাজনৈতিক। তবে আমি চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থী যেন বুঝতে পারে তাদের অধিকারগুলো কী এবং সেগুলো কীভাবে প্রতিষ্ঠা করা যায়। আমি নির্বাচিত হলে শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার ও ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নে রাকসুকে ব্যবহার করব। রাকসুকে কেন্দ্র করে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে চাই, যেখানে শিক্ষার্থীদের কণ্ঠস্বর হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারণের অংশ।”

ভিপি পদপ্রার্থী তাওহীদুল ইসলাম বলেন,
“রাকসুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত করা হবে আমার প্রথম দাবি। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, আবাসন, লাইব্রেরি সংস্কার এবং মানসম্মত গবেষণা পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য রাকসুকে সক্রিয় করা হবে। রাকসুকে কেন্দ্র করে একটি শিক্ষার্থী-অধিকারভিত্তিক আন্দোলনধর্মী কাঠামো তৈরি করতে চাই।”

ভিপি প্রার্থী মাহবুব আলম বলেন,
“রাকসু নির্বাচিত হলে আমার প্রথম কাজ হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। পাশাপাশি আমরা একটি ১৫ বছরের মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করব যাতে আবাসন সংকট খাদ্যের মানোন্নয়ন, চিকিৎসা সুবিধা, ও বিভাগভিত্তিক সমস্যা সমাধান অন্তর্ভুক্ত থাকবে। প্রতিটি বিভাগে একজন করে প্রতিনিধি রেখে রাকসুর সব দাবি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেব।”

স্বতন্ত্র প্রার্থী নূরুল্লাহ নূর বলেন, “আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাবলিক ও প্রাইভেট পলিসি তৈরি করব, যাতে শিক্ষার্থীদের মৌলিক সমস্যাগুলো সমাধান হয়। মাদক প্রতিরোধে এন্টি-ড্রাগ ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম চালু করা হবে, এবং দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি ও আর্থিক সহায়তা তহবিল গঠন করা হবে। রাকসুকে শিক্ষার্থীদের বাস্তব জীবনের সমস্যার সঙ্গে যুক্ত করে একটি সামাজিক দায়িত্বশীল প্ল্যাটফর্মে পরিণত করতে চাই।”

অধিকার আদায়ের ডাক — এনটিআরসিএর বিরুদ্ধে মাঠে নামছে ১ম–১২তম নিবন্ধনধারীরা

মোঃ শফিকুল ইসলাম (মাগুরা সদর)
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ৯:১২ অপরাহ্ণ
অধিকার আদায়ের ডাক — এনটিআরসিএর বিরুদ্ধে মাঠে নামছে ১ম–১২তম নিবন্ধনধারীরা

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের উদ্দেশ্যে যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রণয়ন, নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন করার দায়িত্বে গঠিত বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। কিন্তু বৈধ সনদপ্রাপ্ত (১ম থেকে ১২তম) নিবন্ধনধারীরা দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ বঞ্চনার শিকার।

এই বঞ্চনার প্রতিবাদে আসছে ৯ নভেম্বর শাহবাগে আবারও কঠোর আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন নিবন্ধনধারীরা।

তাদের অভিযোগ, বারবার মনগড়া নিয়ম প্রণয়ন করে নিবন্ধনধারীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে এনটিআরসিএ এসব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আয় করছে কোটি কোটি টাকা। একাধিক ধাপে আবেদন করতে হয় প্রার্থীদের, প্রতিটি ধাপেই দিতে হয় আলাদা ফি—ফলে হাজার হাজার টাকা খরচ হয় একজন প্রার্থীর।

২০১৪ সালে এনটিআরসিএ থেকে বৈধ সনদপ্রাপ্ত মো. মামুন ইসলাম জানান,

> “তিন বছর ধরে অপেক্ষা করছি। টেবিল টেবিল ঘুরেছি। এমনকি এক সহকর্মী মিতা নিজের স্বর্ণের চেন বিক্রি করে আবেদন করেছে। তারপরও কোনো সুরাহা হয়নি।”

নির্বাহী কমিটির সদস্য আমির আসহাব জানান,

তাদের দাবি, গণবিজ্ঞপ্তির আবেদনে এনটিআরসিএ প্রায় ২০৩ কোটি টাকা আয় করেছে—কিন্তু তার বিনিময়ে প্রার্থীরা পাচ্ছেন না ন্যায্য নিয়োগ। নিবন্ধনধারীদের ভাষায়, “এনটিআরসিএর নিয়মগুলোই যেন এক একটি ফাঁদ।”

বছরের পর বছর ধরে চলমান এই বঞ্চনা ও বৈষম্যের প্রতিবাদে ১–১২তম নিবন্ধনধারীরা একাধিকবার মানববন্ধন, অনশন ও আন্দোলন করেছেন। ২০২১ সালের ৮ অক্টোবর প্রেসক্লাবে মানববন্ধনের মাধ্যমে শুরু হয় তাদের আন্দোলন। এরপর প্রায় ২০০ দিন অনশন ও রাতযাপন কর্মসূচি পালন করেছেন শাহবাগ ও শহীদ মিনারে।

তাদের আন্দোলনে জলকামান ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটেছে, তবুও তারা পিছু হটেননি। বারবার আশ্বাস পেলেও বাস্তবে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
নির্বাহী কমিটির সদস্য জিএম ইয়াছিন নিবন্ধনধারীদের পক্ষে দাবি উপস্থাপন করে বলেন
“আমরা বৈধ সনদপ্রাপ্ত শিক্ষক। আমাদের নিয়োগ না দেওয়া সরাসরি বৈষম্য ও অবিচার। আমরা চাই শিক্ষা ক্ষেত্রের বৈষম্য দূরীকরণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ।”আগামী ৯ নভেম্বরের মহাসমাবেশে শিক্ষকরা জানাচ্ছেন, এবার তাদের আন্দোলন শেষ লড়াইয়ের ঘোষণা হয়ে আসবে।

বেঁচে থাকার কঠিন যুদ্ধে রিফাত, চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিলেন কায়সার কামাল

নেত্রকোণা জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:৩০ অপরাহ্ণ
বেঁচে থাকার কঠিন যুদ্ধে রিফাত, চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিলেন কায়সার কামাল

নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত হরিণাকুড়ি গ্রামের রিফাত জন্মের পর থেকেই থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। রিফাতের বাবা আলম মিয়া একজন সাধারণ শ্রমজীবী। তার সীমিত আয় দিয়ে সংসার চালাতেই হিমসিম খেতে হয়। তাই রিফাতের উন্নত চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছিলো না। দিন দিন রিফাতের শারিরীক অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছিলো।

এবার রিফাতের জন্য মানবতার হাত বাড়ালেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তিনি ১৪ বছর বয়সী রিফাতের চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিয়েছেন। সোমবার (৫ নভেম্বর) এই কিশোরকে ঢাকার পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রিফাতের বাবা আলম মিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে রিফাতকে প্রতি মাসে রক্ত দিতে হচ্ছে। সাম্প্রতিক পরীক্ষায় জানা যায়, তার লিভারে একটি অস্ত্রোপচার প্রয়োজন, যা সম্পন্ন হলে সে সুস্থ হয়ে উঠবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

রিফাতের পারিবারিক সূত্র জানায়, বেঁচে থাকার যুদ্ধটা যখন রিফাতের জন্য কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছিলো এবং তার জীবন প্রদীপ নিভে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছিলো ঠিক তখনই অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

বর্তমানে ঢাকার পিজি হাসপাতালে ডা. শাহীনের তত্ত্বাবধানে রিফাতের চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকরা জানান, থ্যালাসেমিয়া রোগের চলমান ট্রিটমেন্টের মধ্যে এখন জরুরি ভিত্তিতে তার লিভারের অপারেশন করতে হবে।

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, জটিল রোগ থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রিফাত যেন সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে, তার সমস্ত চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। আসুন সবাই দোয়া করি রিফাতের সফল অপারেশনের জন্য। মানবতার সেবায় আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।

এই মানবিক উদ্যোগ নেয়ায় স্থানীয় জনসাধারণ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ব্যারিস্টার কায়সার কামালের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

কুড়িগ্রামে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শনিবার, ১ নভেম্বর, ২০২৫, ১:৩৭ অপরাহ্ণ
কুড়িগ্রামে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও সমাবেশ

কুড়িগ্রামে সাংবাদিকদের ২১দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার (১লা নভেম্বর) সকাল ১১টায় কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মোড়ে মানববন্ধন ও সমাবেশের আয়োজন করেন কুড়িগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেজিইউজে)।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সাংবাদিকদের নূন্যতম বেতন ৩৫ (পয়ত্রিশ) হাজার টাকা, সাগর-রুনী হত্যাসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার, নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন, দশম ওয়েজ বোর্ড গঠন, চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের চাকুরিতে পুনর্বহালসহ ২১ দফা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান।

তাঁরা আরো বলেন, অনতিবিলম্বে সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর – রুনী হত্যাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাংবাদিকদের উপর হামলা ও হত্যার বিচার করতে হবে।

মানববন্ধন ও সমাবেশে কুড়িগ্রাম জেলার নয়টি উপজেলার সকল ইলেক্ট্রিনক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন।