নাটোরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নবগঠিত কমিটি বাতিলে ১২ ঘন্টার আল্টিমেটাম

নাটোরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নবগঠিত কমিটি বাতিলে ১২ ঘন্টার আল্টিমেটাম। ছবি মোহাইমিনুল ইসলাম
নাটোরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদ্য ঘোষিত জেলা কমিটি বাতিলের দাবিতে ১২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। কমিটিতে পদবঞ্চিতদের একাংশ হুঁশিয়ারি দিয়েছে, যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কমিটি বাতিল না করা হয়, তবে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করা হবে।
সোমবার (৩ মার্চ) নাটোর শহরের একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এই হুঁশিয়ারি দেন। বক্তারা নবগঠিত কমিটিকে “অবৈধ ও পকেট কমিটি” বলে আখ্যা দিয়ে তৎক্ষণাৎ বাতিলের দাবি জানান। পাশাপাশি, আগের আহ্বায়ক কমিটি পুনর্বহালসহ চার দফা দাবি তুলে ধরেন।
কমিটি গঠন নিয়ে অসন্তোষ
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ৫ জানুয়ারি নাটোর জেলা শাখার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি ২৯৫ জন সদস্য নিয়ে গঠিত হয়। সেই কমিটিই নিয়মিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করে আসছিল।
কিন্তু হঠাৎ করে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি, ফেসবুক পেজে দুই শতাধিক সদস্য নিয়ে নতুন একটি ছয় মাসের কমিটি ঘোষণা করা হয়, যা পদবঞ্চিতদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।
পদবঞ্চিতরা অভিযোগ করেন, নবগঠিত কমিটির অধিকাংশ সদস্য আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, পাশাপাশি একই পরিবারের একাধিক সদস্য ও একই ব্যক্তি একাধিক পদে দায়িত্ব পেয়েছেন, যা সংগঠনের নীতির পরিপন্থী।
বিক্ষুব্ধদের বক্তব্য
সংবাদ সম্মেলনে পূর্বের কমিটির সদস্য সচিব মশিউর রহমান ফুয়াদ বলেন, “ছাত্রদের ন্যায্য দাবি মেনে নিয়ে আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে নবগঠিত কমিটি বাতিল করতে হবে। অন্যথায় নাটোরে রেলপথ ও সড়ক অবরোধ করা হবে।”
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পূর্বের কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অনিক সরকার, সদস্য মেহেদী হাসান, মিনহাজুল আবেদীন, শাহরিয়ার তামিম, সুব্রত দেবসহ পদবঞ্চিতরা।
নবগঠিত কমিটির প্রতিক্রিয়া
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন নাটোর জেলার নবগঠিত কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ ওবায়দুল্লাহ মিম সংবাদ সম্মেলনের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “সংবাদ সম্মেলনে হাতে গোনা দুই-তিনজন আন্দোলনকারী ছিলেন, যারা নতুন কমিটির পদেও রয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “নাটোরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে কোনো ধরনের অরাজকতা বা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা হলে কঠোরভাবে প্রতিরোধ করা হবে।”