দুমকীতে কলেজ ছাত্রী সঙ্গবদ্ধ ধর্ষণ, মূল ঘটনা উদঘাটনের দাবি

রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের মূল ঘটনা উদঘাটনের দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ পটুয়াখালীর দুমকীতে বৃহস্পতিবার(২০ মার্চ) ছাত্র জনতা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে দুমকী থানা ঘেরাও করে এ দাবি তোলেন।
এসময় বিক্ষোভকারীরা অভিযুক্ত শুধু সাকিব ও সিফাত ছাড়াও ওই ছাত্রীর কথিত প্রেমিক উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের আলগী এলাকার মালেক মুন্সির ছেলে ইমরান হোসেনকেও আইনের আওতায় আনার জোর দাবি তোলেন।
সূত্র জানায়, কথিত প্রেমিক ইমরানের আহবানে ভুক্তভোগী ওই কলেজ ছাত্রী উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ১ নং আলগী এলাকায় ঘটনার দিন সন্ধ্যায় দেখা করতে যায়। পরে পার্শ্ববর্তী জলিল মুন্সির ভিটা বাগানে প্রথমে ইমরান মুন্সি কর্তৃক ধর্ষিত হয়। এ ঘটনা স্থানীয় মৃত. মামুন মুন্সির ছেলে মোঃ সাকিব মুন্সি(১৭) ও সোহাগ মুন্সির ছেলে মোঃ সিফাত মুন্সি(১৯) দেখে ফেলে এবং ভিডিও করে। তাদেরকেও ধর্ষণ করতে না দিলে এলাকাবাসীর কাছে বলে দিবে এমন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তারা। ধ্বস্তাধস্তির একপর্যায়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন সাকিব ও সিফাত।
এলাকাবাসীর ভাষ্য, ধর্ষিতা মেয়ের সাথে ইমরান মুন্সি নামের ওই যুবকের বেশ কিছুদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। এমনকি ভুক্তভোগীর নানা বাড়িতে হাতেনাতে ধরাও পড়েছিলেন দু’জন। এনিয়ে সালিশ বৈঠকও হয়েছে স্থানীয় পর্যায়ে। মূলত ভুক্তভোগী এ ঘটনা থেকে প্রেমিক ইমরানকে বাঁচাতে ঘটনার আড়ালে রাখছেন।
আমারও মেয়ে আছে উল্লেখ করে দুমকী থানার উপপরিদর্শক শাহিদ বিক্ষোভকারীদের বলেন, ধর্ষকদের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। বিক্ষোভকারীদের দাবি মেনে নিয়ে তিনি আরও বলেন, এই মামলার যিনি তদন্ত কর্মকর্তা আছেন আপনাদের বিষয়টি তিনি অবশ্যই আমলে নিবেন।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরে উপজেলার আলগী এলাকায় রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এমন অভিযোগ তুলে ভুক্তভোগী এক কলেজ ছাত্রী নিজে বাদী হয়ে দুমকী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন এবং এরই মধ্যে এই ঘটনায় অভিযুক্ত সাকিব মুন্সি (১৭) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।