খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫, ২৬ কার্তিক, ১৪৩২

তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়ন পরিষদে তালা ঝুলানো নিয়ে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ।

নুরুন্নবী আদর |তারাগঞ্জ রংপুর প্রতিনিধি।
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ জুলাই, ২০২৫, ২:০৭ অপরাহ্ণ
তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়ন পরিষদে তালা ঝুলানো নিয়ে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ।

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ০৫নং সয়ার ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) সেবা নিতে এসে অপেক্ষার পর চেয়ারম্যান ও সচিবকে না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে সেবাপ্রার্থীরা ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রশাসনিক কর্মকর্তার (সচিব) কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন।

তারাগঞ্জ উপজেলার ০৫ নং সয়ার ইউনিয়ন পরিষদে গতকাল মঙ্গলবার (০৮ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় এই ঘটনা ঘটে।

সেবাপ্রার্থীদের অভিযোগ, সয়ার ইউপি চেয়ারম্যান আল ইবাদত হোসেন পাইলট ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোজাহারুল ইসলাম নিয়মিত অফিসে না থাকায় এতে সেবা নিতে এসে অপেক্ষার পর ফিরে যেতে হয় সেবাপ্রার্থীদের।

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান আল ইবাদত হোসেন পাইলট। পাল্টা অভিযোগ করে তিনি বলেন, সেবাপ্রার্থীরা তালা লাগাননি। তালা লাগিয়েছেন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। আমাকে পরিকল্পিতভাবে হেনস্তা করার জন্য তাঁরা এ কাজ করেছে। আমি নিয়মিত পরিষদে আসি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইউপি কার্যালয়ে তালা লাগানোর সময়, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এবি পার্টি, খেলাফত মজলিসসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শতাধিক নেতা-কর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

ইসলামী আন্দোলনের তারাগঞ্জ উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আক্তারুজ্জামান বলেন, সয়ার ইউপি চেয়ারম্যান আল ইবাদত হোসেন ও সচিব মোজাহারুল ইসলাম প্রায়ই অনুপস্থিত থাকেন। সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ কারণে সেবাবঞ্চিত জনগণ ক্ষোভ থেকেই তাঁদের কক্ষে তালা লাগিয়েছে, এটা রাজনৈতিক কোনো বিষয় ছিলো না।

এনসিপি উপজেলার সমন্বয়ক মোতাসিম বিল্লা বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে মতবিনিময়ের জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ২০ থেকে ৩০ জন নেতা-কর্মী ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি শত মানুষের জটলা। সেবা না পেয়ে জনতা চেয়ারম্যান ও সচিবের কার্যালয়ে তালা দিয়েছে।’

এ বিষয়ে ইউপি সচিব মোজাহারুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের পাশে ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে নারী সদস্য রোকেয়া খাতুনের শ্বশুরের কুলখানিতে আমরা সবাই পায়ে হেঁটে গিয়েছিলাম। চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশরাও সেখানে ছিলেন, এটি পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। আমরা অনুপস্থিত থাকলেও ইউনিয়ন পরিষদ বন্ধ ছিল না। চেয়ারম্যান ও সচিব অনুপস্থিত, এ অভিযোগ সত্য নয়। পরিকল্পিতভাবে পরিস্থিতি তৈরি করে দৃষ্টিগোচরে আনার চেষ্টা হয়েছে।

বিষয়টি নজরে আনা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল রানা বলেন, বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। তাঁরা ইউনিয়ন পরিষদের তালা লাগানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
তাই বেলা সাড়ে তিনটায় তালা ভেঙে পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালানোর জন্য চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও হিসাব সহকারী ওই সময় অনুপস্থিত থাকার যে অভিযোগ করা হয়েছে, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অধিকার আদায়ের ডাক — এনটিআরসিএর বিরুদ্ধে মাঠে নামছে ১ম–১২তম নিবন্ধনধারীরা

মোঃ শফিকুল ইসলাম (মাগুরা সদর)
প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ৯:১২ অপরাহ্ণ
অধিকার আদায়ের ডাক — এনটিআরসিএর বিরুদ্ধে মাঠে নামছে ১ম–১২তম নিবন্ধনধারীরা

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের উদ্দেশ্যে যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রণয়ন, নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন করার দায়িত্বে গঠিত বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। কিন্তু বৈধ সনদপ্রাপ্ত (১ম থেকে ১২তম) নিবন্ধনধারীরা দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ বঞ্চনার শিকার।

এই বঞ্চনার প্রতিবাদে আসছে ৯ নভেম্বর শাহবাগে আবারও কঠোর আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন নিবন্ধনধারীরা।

তাদের অভিযোগ, বারবার মনগড়া নিয়ম প্রণয়ন করে নিবন্ধনধারীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে এনটিআরসিএ এসব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আয় করছে কোটি কোটি টাকা। একাধিক ধাপে আবেদন করতে হয় প্রার্থীদের, প্রতিটি ধাপেই দিতে হয় আলাদা ফি—ফলে হাজার হাজার টাকা খরচ হয় একজন প্রার্থীর।

২০১৪ সালে এনটিআরসিএ থেকে বৈধ সনদপ্রাপ্ত মো. মামুন ইসলাম জানান,

> “তিন বছর ধরে অপেক্ষা করছি। টেবিল টেবিল ঘুরেছি। এমনকি এক সহকর্মী মিতা নিজের স্বর্ণের চেন বিক্রি করে আবেদন করেছে। তারপরও কোনো সুরাহা হয়নি।”

নির্বাহী কমিটির সদস্য আমির আসহাব জানান,

তাদের দাবি, গণবিজ্ঞপ্তির আবেদনে এনটিআরসিএ প্রায় ২০৩ কোটি টাকা আয় করেছে—কিন্তু তার বিনিময়ে প্রার্থীরা পাচ্ছেন না ন্যায্য নিয়োগ। নিবন্ধনধারীদের ভাষায়, “এনটিআরসিএর নিয়মগুলোই যেন এক একটি ফাঁদ।”

বছরের পর বছর ধরে চলমান এই বঞ্চনা ও বৈষম্যের প্রতিবাদে ১–১২তম নিবন্ধনধারীরা একাধিকবার মানববন্ধন, অনশন ও আন্দোলন করেছেন। ২০২১ সালের ৮ অক্টোবর প্রেসক্লাবে মানববন্ধনের মাধ্যমে শুরু হয় তাদের আন্দোলন। এরপর প্রায় ২০০ দিন অনশন ও রাতযাপন কর্মসূচি পালন করেছেন শাহবাগ ও শহীদ মিনারে।

তাদের আন্দোলনে জলকামান ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটেছে, তবুও তারা পিছু হটেননি। বারবার আশ্বাস পেলেও বাস্তবে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
নির্বাহী কমিটির সদস্য জিএম ইয়াছিন নিবন্ধনধারীদের পক্ষে দাবি উপস্থাপন করে বলেন
“আমরা বৈধ সনদপ্রাপ্ত শিক্ষক। আমাদের নিয়োগ না দেওয়া সরাসরি বৈষম্য ও অবিচার। আমরা চাই শিক্ষা ক্ষেত্রের বৈষম্য দূরীকরণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ।”আগামী ৯ নভেম্বরের মহাসমাবেশে শিক্ষকরা জানাচ্ছেন, এবার তাদের আন্দোলন শেষ লড়াইয়ের ঘোষণা হয়ে আসবে।

বেঁচে থাকার কঠিন যুদ্ধে রিফাত, চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিলেন কায়সার কামাল

নেত্রকোণা জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:৩০ অপরাহ্ণ
বেঁচে থাকার কঠিন যুদ্ধে রিফাত, চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিলেন কায়সার কামাল

নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত হরিণাকুড়ি গ্রামের রিফাত জন্মের পর থেকেই থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। রিফাতের বাবা আলম মিয়া একজন সাধারণ শ্রমজীবী। তার সীমিত আয় দিয়ে সংসার চালাতেই হিমসিম খেতে হয়। তাই রিফাতের উন্নত চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছিলো না। দিন দিন রিফাতের শারিরীক অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছিলো।

এবার রিফাতের জন্য মানবতার হাত বাড়ালেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তিনি ১৪ বছর বয়সী রিফাতের চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিয়েছেন। সোমবার (৫ নভেম্বর) এই কিশোরকে ঢাকার পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রিফাতের বাবা আলম মিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে রিফাতকে প্রতি মাসে রক্ত দিতে হচ্ছে। সাম্প্রতিক পরীক্ষায় জানা যায়, তার লিভারে একটি অস্ত্রোপচার প্রয়োজন, যা সম্পন্ন হলে সে সুস্থ হয়ে উঠবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

রিফাতের পারিবারিক সূত্র জানায়, বেঁচে থাকার যুদ্ধটা যখন রিফাতের জন্য কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছিলো এবং তার জীবন প্রদীপ নিভে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছিলো ঠিক তখনই অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

বর্তমানে ঢাকার পিজি হাসপাতালে ডা. শাহীনের তত্ত্বাবধানে রিফাতের চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকরা জানান, থ্যালাসেমিয়া রোগের চলমান ট্রিটমেন্টের মধ্যে এখন জরুরি ভিত্তিতে তার লিভারের অপারেশন করতে হবে।

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, জটিল রোগ থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রিফাত যেন সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে, তার সমস্ত চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। আসুন সবাই দোয়া করি রিফাতের সফল অপারেশনের জন্য। মানবতার সেবায় আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।

এই মানবিক উদ্যোগ নেয়ায় স্থানীয় জনসাধারণ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ব্যারিস্টার কায়সার কামালের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

কুড়িগ্রামে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শনিবার, ১ নভেম্বর, ২০২৫, ১:৩৭ অপরাহ্ণ
কুড়িগ্রামে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও সমাবেশ

কুড়িগ্রামে সাংবাদিকদের ২১দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার (১লা নভেম্বর) সকাল ১১টায় কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মোড়ে মানববন্ধন ও সমাবেশের আয়োজন করেন কুড়িগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেজিইউজে)।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সাংবাদিকদের নূন্যতম বেতন ৩৫ (পয়ত্রিশ) হাজার টাকা, সাগর-রুনী হত্যাসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার, নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন, দশম ওয়েজ বোর্ড গঠন, চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের চাকুরিতে পুনর্বহালসহ ২১ দফা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান।

তাঁরা আরো বলেন, অনতিবিলম্বে সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর – রুনী হত্যাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাংবাদিকদের উপর হামলা ও হত্যার বিচার করতে হবে।

মানববন্ধন ও সমাবেশে কুড়িগ্রাম জেলার নয়টি উপজেলার সকল ইলেক্ট্রিনক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন।