খুঁজুন
শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০২৫, ৭ চৈত্র, ১৪৩১

জলঢাকায় ধর্ষণের প্রতিবাদে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিলও মানববন্ধন

জসিনুর রহমান, নীলফামারী
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫, ৬:০৫ অপরাহ্ণ
জলঢাকায় ধর্ষণের প্রতিবাদে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিলও মানববন্ধন

জলঢাকায় ধর্ষণের প্রতিবাদে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিলও মানববন্ধন

দেশব্যাপী চলমান ধর্ষণ প্রতিরোধ ও ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর করে নারীসহ জনসাধারণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলও মানববন্ধন করেছে জলঢাকা ছাত্রদল ওজলঢাকা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা।

সমবার (১০ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় জলঢাকা সরকারি কলেজে শিক্ষার্থীরা জড়ো হন। পরে সেখান থেকে একটি মিছিল বের হয়ে বিভিন্ন রোড হয়ে জলঢাকা ছাত্রদল ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্রীহলগুলো প্রদক্ষিণ করে আবু সাইদ চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা।

এসময় তারা ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, ধর্ষকের ফাঁসি চাই ; আমার সোনার বাংলায়,দর্শকের ঠাঁই নাই ; ইনকিলাব ইনকিলাব; জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ, তুমি কে আমি কে, আসিয়া আসিয়া; আমার বোন ধর্ষিত কেন, ইনটিরিম জবাব চাই; গোলামি না আজাদি,আজাদি আজাদি ; একটা একটা ধর্ষক ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর বলে স্লোগান দেয়।

সমাবেশে জলঢাকা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মমতাজুল ইসলাম মিঠু ও জলঢাকা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শিমুল, জলঢাকা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবু সাইদ সাকিল, তিতাস, হারন,রিশাদ, ওশিক্ষার্থী বলেন, আমরা পুরো বাংলাদেশের নারীরা আজ নিরাপদ না। আমরা যখন টিউশনি করায়ে আসি তখন নিরাপত্তা পাই না। রিকশাওয়ালা আমাদের টিস করে। আমরা চাই না আর এরকম কিছু হোক। এই সোনার বাংলায় আর কোনো ধর্ষকের ঠাই হবে না। দেশে যারা ধর্ষক তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত সরকার তাদেরকে শাস্তি প্রদান করবে।

এসময় ধর্ষকের শাস্তি চেয়ে হিসাব জলঢাকা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা বলেন, একটা ধর্ষক শুধু দৈহিকভাবে একটা মেয়ের ক্ষতি করে না। যে ধর্ষণ হয় সে তিলে তিলে শেষ হয়ে যায়। আজ আছিয়া বিষয়ে সবাই জানতে পেরেছে কিন্তু এমন অনেক ধর্ষিতা বোন আছে যারা সম্মানের কথা বা পরিবারের কথা ভেবে কাউকে বিচার চাইতে পারে না। একজন ধর্ষিতা নারীর প্রতিটা দিন কত দূর্বষহ যায় সেটা শুধু সেই জানে। তাই আইন উপদেষ্টাকে বলবো দ্রুত ধর্ষকের শাস্তি নিশ্চিত করুন নয়তো পদত্যাগ করে শাস্তির দেওয়ার দায়িত্ব জনগণের হাতে দিয়ে দেন। জনগণ প্রকাশ্যে তাদের শাস্তি দিবে।

জলঢাকা উপজেলা ছাত্রদলের আহব্বায়ক মমতাজুল ইসলাম মিঠু বলেন স্বাধীন বাংলাদেশে এই মূহুর্তে সবথেকে বেশি জরুরি আমাদের বোনদের নিরাপত্তা। বিভিন্ন নেতারা বলছেন তারা নিরাপত্তা পাচ্ছেন না। আপনারা আগে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। রাজপথে যখন একজন নারী দাঁড়িয়ে যায়, তখন সে একশত পুরুষের সমান ভূমিকা পালন করে। স্বৈরাচারও একটা নারীর গায়ে হাত দেওয়ার আগে দশবার চিন্তা করে। যেকোনো দাবি আদায়ের ক্ষেত্রে আমাদের বোনেরা সবসময় একথা মনে রাখে।

জুলাই বিপ্লবে ৫ হাজার মানুষ মারার হুমকি: পবিপ্রবির সেই শিক্ষক বরখাস্ত

মোঃ রিয়াজুল ইসলাম | স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫, ১১:০৬ অপরাহ্ণ
জুলাই বিপ্লবে ৫ হাজার মানুষ মারার হুমকি: পবিপ্রবির সেই শিক্ষক বরখাস্ত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ‘যদি আরও ৫ হাজার মানুষ মারা লাগে সরকার চিন্তা করবে না।’ এমন হুমকি প্রদানকারী পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(পবিপ্রবি) উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক ড. সন্তোষ কুমার বসুকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার(২০ মার্চ) পবিপ্রবি’র রেজিস্ট্রার(ভারপ্রাপ্ত) ড. ইকতিয়ার উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানা যায়।

ওই আদেশ থেকে জানা যায়, জুলাই বিপ্লব চলাকালীন সময়ে ৫ হাজার ছাত্র হত্যার হুমকি, শিক্ষার্থীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে হল থেকে বের করে দেয়া ও ডিজিএফআই ও এনএসআই এর রিপোর্ট আছে মর্মে হুমকি প্রদান করেন ড. সন্তোষ কুমার বসু। এমন আচরণ ও হুমকি দেশের সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় নিরাপত্তার পরিপন্থী এবং যা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীর সাধারণ আচরণ ও শৃঙ্খলা বিধি (২) এর ছ ধারার লঙ্ঘন। এমতাবস্থায় ড. সন্তোষ কুমার বসুকে চাকরিতে বহাল রাখা জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকিস্বরূপ মনে করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না মর্মে আগামী(১০) কার্যদিবসের মধ্যে রেজিস্ট্রার বরাবরে লিখিত জবাব প্রদানের জন্য আদিষ্ট হয়ে তাকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লখ্য, গত বছরের ৩০ জুলাই(মঙ্গলবার) ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকারের পক্ষ নিয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বিতর্কিত মন্তব্য ও অসৌজন্যমূলক আচরণে তোপের মুখে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন রেজিস্ট্রার ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বসু। এ সংক্রান্ত কয়েকটি অডিও ক্লিপ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় শুরু হয়েছিল।

দেশবাসীর কল্যাণ কামনায় দুর্গাপুর ইউনিয়ন যুবদলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

জেলা প্রতিনিধি,নেত্রকোণা
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫, ১০:৩৯ অপরাহ্ণ
দেশবাসীর কল্যাণ কামনায় দুর্গাপুর ইউনিয়ন যুবদলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

নেত্রকোণার দুর্গাপুরে ২নং দুর্গাপুর সদর ইউনিয়ন যুবদলের উদ্যোগে আলোচনা সভা,ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার উপজেলার মাকড়াইল প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশবাসীর কল্যাণ ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করা হয়েছে।

এই আয়োজনে দেশবাসী এবং মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনায় দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

যুবদলের এই ইফতার আয়োজনে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মী এবং খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

দুর্গাপুর ইউনিয়ন যুবদলের নেতৃবৃন্দ বলেন,পবিত্র মাহে রমজানে গরীব,অসহায় ও খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষদের নিয়ে ইফতার করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এই ইফতার ও দোয়া মাহফিলে দেশবাসী সহ সকলের মঙ্গল কামনা করা হয়েছে।

ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইমাম হাসান আবুচান।

যুবদলের এই ইফতার আয়োজন সফল করতে সার্বিক দায়িত্ব পালনে মূখ্য ভূমিকা রাখেন ২নং দুর্গাপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ফজলুল হক,সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক জালাল উদ্দিন,সদস্য সচিব আজিজুল ইসলাম সহ ইউনিয়ন যুবদলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

এই আয়োজনে অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন,ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুল হক,সদস্য সচিব বোরহান উদ্দিন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ইউসুফ খান,পৌর যুবদলের সদস্য সচিব আল ইমরান সম্রাট গণি,উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন,পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফুর রহমান,পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সোহেল আকাশ,এমদাদুল হক,ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম সহ অনেকে।

গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা কমিটির ত্রৈমাসিক সভা আজ অনুষ্ঠিত হয়

সোহাগ কাজী । মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫, ৯:৫৬ অপরাহ্ণ
গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা কমিটির ত্রৈমাসিক সভা আজ অনুষ্ঠিত হয়

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০.৩০ সময় ডাসার উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা কমিটির ত্রৈমাসিক সভা ডাসার  উপজেলা পরিষদ সন্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেন ডাসার উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব,সাইফ-উল-আরেফীন মহোদয়।

সভাপতি গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা কমিটির সকল সদস্যদের বলেন আপনারা মাসে অন্ততপক্ষে একটি ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতের নথিপত্র লেখা সংরক্ষণ করা এবং হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরগন কি ভাবে ডকুমেন্টস সংরক্ষণ করেন তা পর্যবেক্ষণ করবেন এবং পরিদর্শন খাতায় লিখে আসবেন।তিনি আরও বলেন চেয়ারম্যানগন নিয়মিত এজলাসে বসে গ্রাম আদালতের মামলা নিষ্পত্তি করবেন।

গ্রাম আদালতের মামলা সালিশি আকারে করবেন না কারণ সালিশির কোন ভিত্তি নেই।সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব শেখ মোহাম্মদ এহতেশামুল ইসলাম,ডাসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শিকদার, বালিগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান খান,নবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দুলাল তালুকদার,কাজীবাকাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ হাওলাদার সহ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা,উপজেলা মহিলা

বিষয়ক কর্মকর্তা এবং ডাসার উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আতিকুর রহমান। উক্ত সভা পরিচালনা করেন বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পের ডাসার ও কালকিনি উপজেলা কো-অর্ডিনেটর নাসির উদ্দিন লিটন।উপজেলা কো-অর্ডিনেটর বিগত ডিসেম্বর/২০২৪ হতে ফেব্রুয়ারি/২০২৫ পর্যন্ত তিন মাসের গ্রাম আদালতের বিভিন্ন অর্জন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।বিগত তিনমাসে ডাসার উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে মোট মামলা গ্রহণ হয়েছে ৩৮ টি,

নিষ্পত্তি হয়েছে ৩৮ টি,

উচ্চ আদালত হতে বিগত তিন মাসে কোন মামলা আসেনি। বিগত তিন মাসে  ক্ষতিপূরণ আদায় হয়েছে ১২০৫৬৯৯/-টাকা। তিনি আরও বলেন ইতিমধ্যেই ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরগনদের ৪ দিনের গ্রাম আদালতের বেসিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে যাতে তারা সহজেই গ্রাম আদালতের নথিপত্র লেখার ক্ষেত্রে যথেষ্ট ধারণা পেয়েছেন।