দুমকীতে শিশু হত্যার অভিযোগ
জমাজমির বিরোধে দুমকীতে পেটে লাথি দিয়ে গর্ভজাত সন্তানকে হত্যার অভিযোগ

জমাজমির বিরোধে পটুয়াখালীর দুমকীতে রুমা বেগম(৩০) নামে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূর পেটে লাথি মেরে গর্ভের সন্তানকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। তবে এ ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার(১০ মার্চ) সকালে উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডে মিয়া বাড়ি এলাকায় ওই গৃহবধূর ভাসুর জামাল হোসেন মৃত. শিশুটির লাশ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।
জামাল হোসেনের অভিযোগ, বিরোধপূর্ন জমিতে স্থানীয় সাবিদ আলী গংয়ের লোকজন মঙ্গলবার(৮মার্চ) সকালে মাটি কাটেন। এসময় তারা বাঁধা দিলে প্রতিপক্ষ বশির আকন ও তার স্ত্রী সাবিহা আক্তার কচি তার ভাই কামালকে মারধর করেন। ভুক্তভোগী রুমা এর প্রতিবাদ করলে বশির আকনের স্ত্রী সাবিহা আক্তার কচি সাত মাসের অন্তঃসত্তা রুমা বেগমকে চড় থাপ্পড় ও পেটে লাথি মারেন। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে পটুয়াখালী সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে পটুয়াখালীতেই একটি বেসরকারি ক্লিনিকে আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে বাচ্চার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হন চিকিৎসক এবং বুধবার(৯ মার্চ) রাতে সিজারের মাধ্যমে মৃত. শিশুটিকে বের করে আনা হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন সকালে বিবাদমান জমিতে পিলার উঠিয়ে ফেলেন চান মিয়ার ছেলে জামাল হোসেন। পরে প্রতিপক্ষ সাবেদ আলী আকন গং এ কাজে বাঁধা দিলে উভয় পক্ষই বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এতে উপস্থিত ছিলেন চান মিয়ার ছেলে জামাল হোসেন, কামাল হোসেন, ছোট ভাই লাবু মিয়া, জামালের স্ত্রী আসমা বেগম, চান মিয়ার স্ত্রী জাহানারা বেগম ও কামালের অন্তঃসত্তা স্ত্রী রুমা বেগম। অপর দিকে সাবেদ আলী আকনের ভাতিজা বিপ্লব আকন, ছেলে বশির আকন, বশির আকনের স্ত্রী সাবিহা আক্তার কচি উপস্থিত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সুলতান হাওলাদারের স্ত্রী রাশেদা বেগমের ভাষ্য, দূর থেকে তিনি মারামারি দেখেছেন। তবে কে কাকে মেরেছেন তা বলতে পারছেন না তিনি।
অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে বশির আকন বলেন, জমাজমি নিয়ে আমাদের দু’পক্ষের মধ্যে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। উক্ত মামলায় জিততে ও আমাদের হেনস্তা করতে এ মিথ্যা নাটক সাজিয়েছে তারা(চান মিয়া সিকদার গং)।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাকির হোসেন একুশে বার্তাকে জানান, জমিজমা নিয়ে বিরোধের বিষয়টি তার জানা আছে কিন্তু মারামারির ঘটনা তিনি জানেন না।