এম.এইচ আরমান:
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া মাতামুহুরি খালের উপর নির্মিত মাতামুহুরি সেতুর উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করবে আগামী ঈদ-উল আযহার আগেই। ইতিমধ্যে মাতামুহুরি ৯০ শতাংশ সেতুর কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ছয় লেনবিশিষ্ট ৪টি নতুন সেতুর নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। ক্রমান্বয়ে দূশ্যমান হচ্ছে সেতুগুলো। আর এ চার সেতুতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৫১ কোটি ৮ লক্ষ টাকা। যার মধ্যে চকরিয়ার মাতামুহুরি সেতুতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫২ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকা।
কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে দৈনিক মেহেদীকে নিশ্চিত করেছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ও ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পের ব্যবস্থাপক
জুলফিকার আহমেদ। প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে পটিয়ার ইন্দ্রপুল,চন্দনাইশের বরুমতি খাল ও দোহাজারী সাঙ্গু নদী, চকরিয়ার মাতামুহুরিসহ ৪টি সেতু ছয় লেনবিশিষ্ট হলেও যানবাহন চলাচলের সুবিধার্থে সাঙ্গু ও মাতামুহুরি সেতু প্রথমে তিন লেইনের কাজ সম্পন্ন করে আগামী জুলাই মাসে ঈদ-উল আযহার আগেই যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
পরবর্তীতে পটিয়ার ইন্দ্রপুল ও বারুমতি খালের সেতুও উন্মুক্ত করা হবে। এছাড়াও বিদ্যামান পুরনো সেতুগুলো ভেঙে বাকি তিন লেইনের কাজ করা হবে। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ঐ সেতুর বাকি তিন লেইনের কাজও সম্পন্ন হবে বলে জানা গেছে। চট্টগ্রাম- কক্সবাজার মহাসড়কের উপর নির্মিত চারটি সেতুর নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছে স্প্রেক্টা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) বেশিরভাগ আর্থিক সহায়তায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ছয় লেইনের চারটি নতুন সেতু নির্মাণকাজ এগিয়ে চলছে।
সরকার ও জাইকার যৌথ অর্থায়নে ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পের অধীনে নির্মাণাধীন ছয় লেইনের চার সেতুগুলো হচ্ছে চট্টগ্রাম- কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়ক এন-১ এ ২৫ কিলোমিটার পটিয়া ইন্দ্রপুল সেতু। এটি ৬০ মিটার লম্বা ও ৩১.২০ চওড়া। ৩৯ কিলোমিটার দীর্ঘ চন্দনাইশের বারুমতি খালের মাজার পয়েন্ট সেতু ৬০.১৫ মিটার লম্বা ও ৩১.২০ মিটার চওড়া। ৪৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের
চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারীতে অবস্থিত সাঙ্গু নদীর ওপর স্থাপিত সেতুটি ২৩৮ মিটার লম্বা ও ৩১. ২০ মিটার চওড়া। অন্যদিকে ১০০ মিটার কিলোমিটার
দৈর্ঘের চকরিয়া উপজেলার মাতামুহুরী নদীর ওপর স্থাপিত মাতামুহুরি সেতু ৩২১ মিটার লম্বা ও ৩১.২০ মিটার চওড়া।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে নির্মিত এসব সেতু ও কালভার্টের দুইপাশে হালকা যানবাহন চলাচলের জন্য বিশেষ সুবিধা রয়েছে বলে জানা গেছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এবং ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইপ্রুভমেন্ট প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মো.জুলফিকার আহমেদ জানান, চকরিয়া উপজেলার মাতামুহুরি নদীর ও মাতামুহুরি সেতুর আটটি পিলারের সবক’টির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন চলছে স্ল্যাব বসানোর কাজ। আগামী জুন মাসের মাসের মধ্যে সাঙ্গু, মাতামুহুরি সেতুর তিন লেইন যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। পরে বিদ্যামান পুরনো সেতু ভেঙে বাকি তিন লেইনের কাজ শেষে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সেতুর ছয় লেইন দিয়েই যানবাহন চলাচল করতে পারবে।
উল্লেখ্য পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতসমৃদ্ধ পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে ঘিরে কয়েকটি মেঘা প্রকল্প দ্রুততার সাথে বাস্তবায়ন করছে সরকার। এসব প্রকল্পকে ঘিরে দেশি-বিদেশি পর্যটকের পদচারণা বেড়েই চলছে। তাদের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম চট্টগ্রাম- কক্সবাজার মহাসড়ক।
পর্যটন খাতের ব্যবসার প্রায় পুরোটাই
নির্ভরশীল এ সড়কের উপর।
প্রিয় পাঠক, আপনিও একুশে বার্তা অনলাইনের অংশ হয়ে উঠুন। লাইফস্টাইলবিষয়ক ফ্যাশন, স্বাস্থ্য, ভ্রমণ, নারী, ক্যারিয়ার, পরামর্শ, এখন আমি কী করব, খাবার, রূপচর্চা ও ঘরোয়া টিপস নিয়ে লিখুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুন ekusheybartaonline@gmail.com-এ ঠিকানায়। লেখা আপনার নামে প্রকাশ করা হবে।