খুঁজুন
শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫, ২৭ আষাঢ়, ১৪৩২

গণঅধিকার পরিষদ

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি কে নিয়ে মিথ্যা তথ্যও বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার করায় প্রতিবাদ

জসিনুর রহমান | নীলফামারী প্রতিনিধি 
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৪ মার্চ, ২০২৫, ৫:০৯ অপরাহ্ণ
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি কে নিয়ে মিথ্যা তথ্যও বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার করায় প্রতিবাদ

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরকে অসত্য তথ্য ও বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন গন অধিকার পরিষদ জলঢাকা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল মতিন স্বাধীন ।

মোঃ আব্দুল মতিন স্বাধীন বলেন, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এই মুহূর্তে সাংগঠনিক সফরে ইউরোপ অবস্থান করছেন। আর গণঅধিকার পরিষদ ট্রাক প্রতীকে নিবন্ধিত একটি রাজনৈতিক দল।

গণঅধিকার পরিষদ শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী স্বৈরশাসনের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে গণতন্ত্র ও গণমানুষের অধিকার আদায়ে রাজপথের ধারাবাহিক আন্দোলন সংগ্রাম মধ্য দিয়ে জনআকাঙ্ক্ষা থেকে গড়ে উঠা বাংলাদেশের একমাত্র অর্গানিক দল।

শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে দেশে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও নাগরিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় গণঅধিকার পরিষদ এদেশের মানুষের নিপীড়িত-শোষিত, বঞ্চিত মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করে গেছে। গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর শেখ হাসিনার শত কোটি টাকা ও এমপি-মন্ত্রী হওয়ার সুযোগ প্রত্যাখান করে মানুষের মুক্তির লড়াইয়ে রাজপথকে বেছে নিয়েছে।

যে নুরুল হক নূর ও দেশে-বিদেশে গণঅধিকার পরিষদের অসংখ্য নেতা-কর্মীকে হয়রানি, লাঞ্চিত ও নির্যাতিত, এমনকি কারাবরণ করতে হয়েছে।

এদেশের মানুষ জানে শেখ হাসিনার ভয়ঙ্কর ফ্যাসিবাদ মোকাবেলায় প্রচলিত রাজনৈতিক দলগুলোর ক্রমাগত ব্যর্থতার প্রেক্ষাপটে কোটা সংস্কার আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের মাধ্যমে উত্থিত বিপ্লবী তরুণ শক্তির আকাঙ্ক্ষা ধারণ করেই গণঅধিকার পরিষদের জন্ম এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংগঠিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রূপকার নুরুল হক নুর এই তরুণ শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ রেখে জনআকাঙ্ক্ষার নতুন বাংলাদেশ বির্নিমানে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার অর্থ এই নয় যে, তিনি তার দল বিলুপ্ত করে অন্য পার্টিতে যোগদান করবেন।

আমরা আশ্চর্যজনকভাবে লক্ষ্য করেছি জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াতে ও গণঅধিকার পরিষদের ইমেজ ক্ষুন্নকরণে কেউ কেউ তার এই মহৎ আকাঙ্ক্ষাকে বিকৃত ও অসৎ উদ্দেশ্যে প্রচারের চেষ্টা করছেন।

মোঃ আব্দুল মতিন স্বাধীন , সকলকে এ ধরণের মিথ্যা অপপ্রচার ও প্রোপাগাণ্ডা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায়।

দিনাজপুর জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. দুলালের সাথে ফাজিলপুর ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দের মতবিনিময়

মাসুদুর রহমান, দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি।
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫, ১২:০৫ অপরাহ্ণ
দিনাজপুর জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. দুলালের সাথে ফাজিলপুর  ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দের মতবিনিময়

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ১৯ দফা নিয়ে দিনাজপুর জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. মোফাজ্জল হোসেন দুলাল সদরের ফাজিলপুর ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মী ও স্থানীয় সাধারণ মানুষের সাথে মতবিনিময় করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই ২০২৫) বাদ আসর সদর উপজেলার রানীগঞ্জ বাজারে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

শশরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সভাপতি এ্যাড. মোফাজ্জল হোসেন দুলাল।

মতবিনিময় সভায় বক্তারা তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে তৃনমূলের বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান। পাশাপাশি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুর-৩ (সদর) আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. মোফাজ্জল হোসেন দুলালকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণার জন্য বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারনি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান। কারণ এর আগে তিনি সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এছাড়া তিনি আউলিয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। এসব বিবেচনায় কেন্দ্রীয় বিএনপি এ্যাড. মোফাজ্জল হোসেন দুলালকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণার দাবি জানান তারা।

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক ফরিজার রহমান তপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সাঈদ, ফাজিলপুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক এরশাদ মন্ডল।

মতবিনিময় সভায় ফাজিলপুর ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, কৃষকদল, শ্রমিকদল, সহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসহযোগি সংগঠনের বিপুলসংখ্যাক নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

“জেলা গোয়েন্দা শাখা, দিনাজপুর কর্তৃক কুখ্যাত দুইজন মাদক ব্যবসায়ী ইয়াবা ট্যাবলেট সহ ২ জন গ্রেফতার” এবং ” (মাদকদ্রব্য) ফেনসিডিল উদ্ধার”

মাসুদুর রহমান, দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি।
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ জুলাই, ২০২৫, ১১:০১ অপরাহ্ণ
“জেলা গোয়েন্দা শাখা, দিনাজপুর  কর্তৃক কুখ্যাত দুইজন মাদক ব্যবসায়ী  ইয়াবা ট্যাবলেট সহ  ২  জন গ্রেফতার” এবং ”  (মাদকদ্রব্য) ফেনসিডিল উদ্ধার”

দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপার মোঃ মারুফাত হোসাইন দিক-নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোঃ আনোয়ার হোসেন এর তত্তাবধায়নে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অফিসার ইনচার্জ জনাব মুহাম্মদ আলমগীর পিপিএম, এর নেতৃত্বে ডিবির একটি চৌকস টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ০৯/০৭/২০২৫ তারিখে ভোর- ০৫.৩৫ ঘটিকার সময় দিনাজপুর কোতয়ালী থানাধীন লিলির মোড় হইতে নাবিল পরিবহন বাসের যাত্রী মাদক ব্যবসায়ী ০১। মোঃ শাহিন আলম ওরফে সাদ্দাম (২৭), পিতা- মোঃ সিদ্দিক আলী, সাং-দরগাপাড়া, থানা-বোচাগঞ্জ, জেলা-দিনাজপুরকে ৬০০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট সহ গ্রেফতার করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার সহযোগী আসামী ০২। মোঃ ফারুক হোসেন (৪৩), পিতা-মোঃ নাজিমউদ্দিন, সাং-চন্ডিপুর, থানা-বোচাগঞ্জ, জেলা-দিনাজপুরকে কোতয়ালী থানাধীন বালুয়াডাঙ্গা মোড় হতে গ্রেফতার করে। আসামী ০১। মোঃ শাহিন আলম ওরফে সাদ্দাম এর বিরুদ্ধে ০৫টি মাদক মামলা এবং ০২। মোঃ ফারুাক হোসেন এর বিরুদ্ধে ০২টি মাদক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
অপরদিকে
জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) দিনাজপুরের একটি চৌকস টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে অদ্য ০৯/০৭/২০২৫ বিকাল- ০৩.১০ ঘটিকার সময় দিনাজপুর বিরল থানাধীন মোঃ করিমুল ইসলাম এর বসত বাড়ীর পূর্ব দুয়ারী ঘরের ভিতর হইতে ৫০ বোতল মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল উদ্ধার করে। ০১। মোঃ করিমুল ইসলাম (৪২), ০২। মোঃ শরিফুল (৪৫) উভয় পিতা- মোঃ মহিদুর রহমান, সাং-বৈরাগীপাড়া, থানা-বিরল, জেলা-দিনাজপুরদ্বয় পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে সু-কৌশলে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। উক্ত পলাতক আসামীদের একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। উক্ত পলাতক আসামীদের গ্রেফতার করার লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত আছে।

তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়ন পরিষদে তালা ঝুলানো নিয়ে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ।

নুরুন্নবী আদর |তারাগঞ্জ রংপুর প্রতিনিধি।
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ জুলাই, ২০২৫, ২:০৭ অপরাহ্ণ
তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়ন পরিষদে তালা ঝুলানো নিয়ে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ।

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ০৫নং সয়ার ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) সেবা নিতে এসে অপেক্ষার পর চেয়ারম্যান ও সচিবকে না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে সেবাপ্রার্থীরা ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রশাসনিক কর্মকর্তার (সচিব) কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন।

তারাগঞ্জ উপজেলার ০৫ নং সয়ার ইউনিয়ন পরিষদে গতকাল মঙ্গলবার (০৮ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় এই ঘটনা ঘটে।

সেবাপ্রার্থীদের অভিযোগ, সয়ার ইউপি চেয়ারম্যান আল ইবাদত হোসেন পাইলট ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোজাহারুল ইসলাম নিয়মিত অফিসে না থাকায় এতে সেবা নিতে এসে অপেক্ষার পর ফিরে যেতে হয় সেবাপ্রার্থীদের।

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান আল ইবাদত হোসেন পাইলট। পাল্টা অভিযোগ করে তিনি বলেন, সেবাপ্রার্থীরা তালা লাগাননি। তালা লাগিয়েছেন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। আমাকে পরিকল্পিতভাবে হেনস্তা করার জন্য তাঁরা এ কাজ করেছে। আমি নিয়মিত পরিষদে আসি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইউপি কার্যালয়ে তালা লাগানোর সময়, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এবি পার্টি, খেলাফত মজলিসসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শতাধিক নেতা-কর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

ইসলামী আন্দোলনের তারাগঞ্জ উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আক্তারুজ্জামান বলেন, সয়ার ইউপি চেয়ারম্যান আল ইবাদত হোসেন ও সচিব মোজাহারুল ইসলাম প্রায়ই অনুপস্থিত থাকেন। সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ কারণে সেবাবঞ্চিত জনগণ ক্ষোভ থেকেই তাঁদের কক্ষে তালা লাগিয়েছে, এটা রাজনৈতিক কোনো বিষয় ছিলো না।

এনসিপি উপজেলার সমন্বয়ক মোতাসিম বিল্লা বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে মতবিনিময়ের জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ২০ থেকে ৩০ জন নেতা-কর্মী ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি শত মানুষের জটলা। সেবা না পেয়ে জনতা চেয়ারম্যান ও সচিবের কার্যালয়ে তালা দিয়েছে।’

এ বিষয়ে ইউপি সচিব মোজাহারুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের পাশে ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে নারী সদস্য রোকেয়া খাতুনের শ্বশুরের কুলখানিতে আমরা সবাই পায়ে হেঁটে গিয়েছিলাম। চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশরাও সেখানে ছিলেন, এটি পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। আমরা অনুপস্থিত থাকলেও ইউনিয়ন পরিষদ বন্ধ ছিল না। চেয়ারম্যান ও সচিব অনুপস্থিত, এ অভিযোগ সত্য নয়। পরিকল্পিতভাবে পরিস্থিতি তৈরি করে দৃষ্টিগোচরে আনার চেষ্টা হয়েছে।

বিষয়টি নজরে আনা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল রানা বলেন, বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। তাঁরা ইউনিয়ন পরিষদের তালা লাগানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
তাই বেলা সাড়ে তিনটায় তালা ভেঙে পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালানোর জন্য চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও হিসাব সহকারী ওই সময় অনুপস্থিত থাকার যে অভিযোগ করা হয়েছে, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।