খুলনা-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের দুই মামলা

খুলনা-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র। ছবি সংগৃহীত
খুলনা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী থাকা অবস্থায় জ্ঞাত বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে খুলনা-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্রের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার দুদকের সহকারী পরিচালক রকিবুল ইসলাম বাদি হয়ে খুলনা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
এদিকে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নারায়ণ চন্দ্র চন্দের স্ত্রী ঊষা রানী চন্দের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেছে দুদক। এই মামলায় নারায়ণ চন্দ্র চন্দকেও আসামি করা হয়েছে।
দুদক খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান শুভ্র বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয় হিসাবে পাবলিক সার্ভেন্ট থাকা অবস্থায় অসাধু উপায়ে নিজ নামে জাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ এক কোটি ৭৯ লাখ ৬৮ হাজার ৩৭৭ টাকার সম্পদ অর্জন করে নিজ মালিকানা ও ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র ও তথ্যাদি পর্যালোচনায় নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এর নামে ১ কোটি ৪৪ লাখ ৭৭ হাজার ৪০০ টাকার স্থাবর ও ২ কোটি ৫ লাখ ২৫ হাজার ১৬৬ টাকার অস্থাবরসহ মোট ৩ কোটি ৫০ লাখ ২ হাজার ৫৬৬ টাকা মূল্যের সম্পদ পাওয়া যায়। এ সময়ে তার গ্রহণযোগ্য আয়ের উৎস পাওয়া যায় ৩ কোটি ৯ লাখ ৯৩ হাজার ৩২৮ টাকা এবং পারিবারিক ও অন্যান্য খাতে ব্যয় পাওয়া যায় ১ কোটি ৩৯ লাখ ৫৯ হাজার ১৩৯ টাকা। উক্ত ব্যয় ব্যতিত সম্পদ অর্জনের জন্য নীট আয়/সঞ্চয় পাওয়া যায় ১ কোটি ৭০ লাখ ৩৪ হাজার ১৮৯ টাকা। সে মোতাবেক নারায়ণ চন্দ্র চন্দের জ্ঞাত আয়ের সাথে অসংগতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৭৯ লাখ ৬৮ হাজার ৩৭৭ টাকা।
এমতাবস্থায় নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ১ কোটি ৭৯ লাখ ৬৮ হাজার ৩৭৭ টাকার সম্পদ অর্জন করে নিজ মালিকানা ও ভোগ দখলে রাখার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭৭১) ধারায় মামলা করেন।
এদিকে মামলায় সাবেক ভূমি মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের স্ত্রী ঊষা রানী চন্দের বিরুদ্ধে ৬২ লাখ ৪৩ হাজার ২১১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারাসহ দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।