খুঁজুন
শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০২৫, ৭ চৈত্র, ১৪৩১

খুলনা-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের দুই মামলা

জিএম দুলাল, খুলনা জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সোমবার, ৩ মার্চ, ২০২৫, ৬:৩০ অপরাহ্ণ
খুলনা-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের দুই মামলা

খুলনা-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র। ছবি সংগৃহীত

খুলনা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী থাকা অবস্থায় জ্ঞাত বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে খুলনা-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্রের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার দুদকের সহকারী পরিচালক রকিবুল ইসলাম বাদি হয়ে খুলনা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
এদিকে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নারায়ণ চন্দ্র চন্দের স্ত্রী ঊষা রানী চন্দের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেছে দুদক। এই মামলায় নারায়ণ চন্দ্র চন্দকেও আসামি করা হয়েছে।

দুদক খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান শুভ্র বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয় হিসাবে পাবলিক সার্ভেন্ট থাকা অবস্থায় অসাধু উপায়ে নিজ নামে জাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ এক কোটি ৭৯ লাখ ৬৮ হাজার ৩৭৭ টাকার সম্পদ অর্জন করে নিজ মালিকানা ও ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র ও তথ্যাদি পর্যালোচনায় নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এর নামে ১ কোটি ৪৪ লাখ ৭৭ হাজার ৪০০ টাকার স্থাবর ও ২ কোটি ৫ লাখ ২৫ হাজার ১৬৬ টাকার অস্থাবরসহ মোট ৩ কোটি ৫০ লাখ ২ হাজার ৫৬৬ টাকা মূল্যের সম্পদ পাওয়া যায়। এ সময়ে তার গ্রহণযোগ্য আয়ের উৎস পাওয়া যায় ৩ কোটি ৯ লাখ ৯৩ হাজার ৩২৮ টাকা এবং পারিবারিক ও অন্যান্য খাতে ব্যয় পাওয়া যায় ১ কোটি ৩৯ লাখ ৫৯ হাজার ১৩৯ টাকা। উক্ত ব্যয় ব্যতিত সম্পদ অর্জনের জন্য নীট আয়/সঞ্চয় পাওয়া যায় ১ কোটি ৭০ লাখ ৩৪ হাজার ১৮৯ টাকা। সে মোতাবেক নারায়ণ চন্দ্র চন্দের জ্ঞাত আয়ের সাথে অসংগতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৭৯ লাখ ৬৮ হাজার ৩৭৭ টাকা।

এমতাবস্থায় নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ১ কোটি ৭৯ লাখ ৬৮ হাজার ৩৭৭ টাকার সম্পদ অর্জন করে নিজ মালিকানা ও ভোগ দখলে রাখার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭৭১) ধারায় মামলা করেন।
এদিকে মামলায় সাবেক ভূমি মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের স্ত্রী ঊষা রানী চন্দের বিরুদ্ধে ৬২ লাখ ৪৩ হাজার ২১১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারাসহ দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।

জুলাই বিপ্লবে ৫ হাজার মানুষ মারার হুমকি: পবিপ্রবির সেই শিক্ষক বরখাস্ত

মোঃ রিয়াজুল ইসলাম | স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫, ১১:০৬ অপরাহ্ণ
জুলাই বিপ্লবে ৫ হাজার মানুষ মারার হুমকি: পবিপ্রবির সেই শিক্ষক বরখাস্ত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ‘যদি আরও ৫ হাজার মানুষ মারা লাগে সরকার চিন্তা করবে না।’ এমন হুমকি প্রদানকারী পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(পবিপ্রবি) উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক ড. সন্তোষ কুমার বসুকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার(২০ মার্চ) পবিপ্রবি’র রেজিস্ট্রার(ভারপ্রাপ্ত) ড. ইকতিয়ার উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানা যায়।

ওই আদেশ থেকে জানা যায়, জুলাই বিপ্লব চলাকালীন সময়ে ৫ হাজার ছাত্র হত্যার হুমকি, শিক্ষার্থীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে হল থেকে বের করে দেয়া ও ডিজিএফআই ও এনএসআই এর রিপোর্ট আছে মর্মে হুমকি প্রদান করেন ড. সন্তোষ কুমার বসু। এমন আচরণ ও হুমকি দেশের সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় নিরাপত্তার পরিপন্থী এবং যা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীর সাধারণ আচরণ ও শৃঙ্খলা বিধি (২) এর ছ ধারার লঙ্ঘন। এমতাবস্থায় ড. সন্তোষ কুমার বসুকে চাকরিতে বহাল রাখা জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকিস্বরূপ মনে করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না মর্মে আগামী(১০) কার্যদিবসের মধ্যে রেজিস্ট্রার বরাবরে লিখিত জবাব প্রদানের জন্য আদিষ্ট হয়ে তাকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লখ্য, গত বছরের ৩০ জুলাই(মঙ্গলবার) ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকারের পক্ষ নিয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বিতর্কিত মন্তব্য ও অসৌজন্যমূলক আচরণে তোপের মুখে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন রেজিস্ট্রার ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বসু। এ সংক্রান্ত কয়েকটি অডিও ক্লিপ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় শুরু হয়েছিল।

দেশবাসীর কল্যাণ কামনায় দুর্গাপুর ইউনিয়ন যুবদলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

জেলা প্রতিনিধি,নেত্রকোণা
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫, ১০:৩৯ অপরাহ্ণ
দেশবাসীর কল্যাণ কামনায় দুর্গাপুর ইউনিয়ন যুবদলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

নেত্রকোণার দুর্গাপুরে ২নং দুর্গাপুর সদর ইউনিয়ন যুবদলের উদ্যোগে আলোচনা সভা,ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার উপজেলার মাকড়াইল প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশবাসীর কল্যাণ ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করা হয়েছে।

এই আয়োজনে দেশবাসী এবং মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনায় দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

যুবদলের এই ইফতার আয়োজনে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মী এবং খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

দুর্গাপুর ইউনিয়ন যুবদলের নেতৃবৃন্দ বলেন,পবিত্র মাহে রমজানে গরীব,অসহায় ও খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষদের নিয়ে ইফতার করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এই ইফতার ও দোয়া মাহফিলে দেশবাসী সহ সকলের মঙ্গল কামনা করা হয়েছে।

ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইমাম হাসান আবুচান।

যুবদলের এই ইফতার আয়োজন সফল করতে সার্বিক দায়িত্ব পালনে মূখ্য ভূমিকা রাখেন ২নং দুর্গাপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ফজলুল হক,সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক জালাল উদ্দিন,সদস্য সচিব আজিজুল ইসলাম সহ ইউনিয়ন যুবদলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

এই আয়োজনে অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন,ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুল হক,সদস্য সচিব বোরহান উদ্দিন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ইউসুফ খান,পৌর যুবদলের সদস্য সচিব আল ইমরান সম্রাট গণি,উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন,পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফুর রহমান,পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সোহেল আকাশ,এমদাদুল হক,ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম সহ অনেকে।

গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা কমিটির ত্রৈমাসিক সভা আজ অনুষ্ঠিত হয়

সোহাগ কাজী । মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫, ৯:৫৬ অপরাহ্ণ
গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা কমিটির ত্রৈমাসিক সভা আজ অনুষ্ঠিত হয়

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০.৩০ সময় ডাসার উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা কমিটির ত্রৈমাসিক সভা ডাসার  উপজেলা পরিষদ সন্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেন ডাসার উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব,সাইফ-উল-আরেফীন মহোদয়।

সভাপতি গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা কমিটির সকল সদস্যদের বলেন আপনারা মাসে অন্ততপক্ষে একটি ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতের নথিপত্র লেখা সংরক্ষণ করা এবং হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরগন কি ভাবে ডকুমেন্টস সংরক্ষণ করেন তা পর্যবেক্ষণ করবেন এবং পরিদর্শন খাতায় লিখে আসবেন।তিনি আরও বলেন চেয়ারম্যানগন নিয়মিত এজলাসে বসে গ্রাম আদালতের মামলা নিষ্পত্তি করবেন।

গ্রাম আদালতের মামলা সালিশি আকারে করবেন না কারণ সালিশির কোন ভিত্তি নেই।সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব শেখ মোহাম্মদ এহতেশামুল ইসলাম,ডাসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শিকদার, বালিগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান খান,নবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দুলাল তালুকদার,কাজীবাকাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ হাওলাদার সহ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা,উপজেলা মহিলা

বিষয়ক কর্মকর্তা এবং ডাসার উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আতিকুর রহমান। উক্ত সভা পরিচালনা করেন বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পের ডাসার ও কালকিনি উপজেলা কো-অর্ডিনেটর নাসির উদ্দিন লিটন।উপজেলা কো-অর্ডিনেটর বিগত ডিসেম্বর/২০২৪ হতে ফেব্রুয়ারি/২০২৫ পর্যন্ত তিন মাসের গ্রাম আদালতের বিভিন্ন অর্জন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।বিগত তিনমাসে ডাসার উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে মোট মামলা গ্রহণ হয়েছে ৩৮ টি,

নিষ্পত্তি হয়েছে ৩৮ টি,

উচ্চ আদালত হতে বিগত তিন মাসে কোন মামলা আসেনি। বিগত তিন মাসে  ক্ষতিপূরণ আদায় হয়েছে ১২০৫৬৯৯/-টাকা। তিনি আরও বলেন ইতিমধ্যেই ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরগনদের ৪ দিনের গ্রাম আদালতের বেসিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে যাতে তারা সহজেই গ্রাম আদালতের নথিপত্র লেখার ক্ষেত্রে যথেষ্ট ধারণা পেয়েছেন।