খুঁজুন
শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫, ৩ শ্রাবণ, ১৪৩২

কুয়েটের প্রকৌশলীকে হুমকির পর মারধর, বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ

জিএম দুলাল | খুলনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৪ মার্চ, ২০২৫, ৫:১৬ অপরাহ্ণ
কুয়েটের প্রকৌশলীকে হুমকির পর মারধর, বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ

কুয়েটের প্রকৌশলীকে হুমকির পর মারধর, বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ। ছবি জিএম দুলাল

বিএনপির এক নেতার কাছ থেকে মারধরের হুমকি পেয়ে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য বরাবর সোমবার দুপুরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই প্রকৌশলী। এর মধ্যেই এক প্রকৌশলীকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
যাঁর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে, তাঁর নাম মোল্লা সোহাগ হোসেন। তিনি খানজাহান আলী থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক। তাঁর মারধরের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন কুয়েটের নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর) শেখ আবু হায়াত।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে শেখ আবু হায়াত বলেন, সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে আমার বাড়ির পাশে মহেশ্বরপাশা উত্তর বনিকপাড়া আল আকসা মসজিদের পশ্চিম দক্ষিণ কোনায় রাস্তার ওপর ঘটনাটি ঘটেছে। মসজিদ থেকে আসরের নামাজ পড়ে ফেরার সময় দেখি মোটরসাইকেলে সোহাগ মোল্লাসহ অন্য দুজন। কথা–কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাঁরা আমার গায়ে হাত দেয় এবং আমার চশমা নিয়ে যায়।
তবে মোল্লা সোহাগ বলেন, ‘আসরের পর উনার (আবু হায়াত) বাড়ির মোড়ে উনার সঙ্গে আমার তর্কবিতর্ক হয়েছে। উনি জামায়াতে ইসলামীকে সমর্থন করেন, আমি বিএনপির কর্মী। এ নিয়ে কথা–কাটাকাটি হয়। আমি একজন রাজনৈতিক দলের লিডার হয়ে মারপিট করতে যাব, এটা কেমন কথা।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুয়েটে একটি ভবনের ছাদের কাজ করা নিয়ে কুয়েটের দুই নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর) শেখ আবু হায়াত ও মো. গোলাম কিবরিয়ার সঙ্গে মোল্লা সোহাগের বিরোধ চলছে। কাজে প্রকৌশলীদের আরও বেশি প্রফিট নির্ধারণ করে দেওয়ার কথা বলেছিলেন ওই ঠিকাদার। এ কারণে প্রকৌশলীদের হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে বিএনপির এই নেতা দাবি করেছেন, তিনি ঠিকাদারির কাজ করেন না।

গতকাল রোববার মুঠোফোনে হুমকি পাওয়ার পর আজ বেলা আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ করে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন দুই প্রকৌশলী।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ নম্বর ভবনের ছাদের ওপরে ওয়াটার প্রুফিংয়ের কাজ নিয়েছেন বিএনপির নেতা ঠিকাদার মোল্লা সোহাগ। কাজটা কয়েক দিন আগে শুরু হয়েছে। রোববার বেলা তিনটার দিকে ঠিকাদার মোল্লা সোহাগ প্রথমে গোলাম কিবরিয়ার ব্যক্তিগত মুঠোফোন নম্বরে কল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী এ বি এম মামুনুর রশিদ এবং অন্য নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ আবু হায়াতকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন ও হুমকি দেন। তাঁকে গালাগাল করতে নিষেধ করায় তিনি গোলাম কিবরিয়াকেও গালাগাল করেন এবং হুমকি দেন। পরে তিনি একই পরিচয় দিয়ে শেখ আবু হায়াতকেও মুঠোফোনে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন ও হুমকি দেন।

কুয়েটের উপাচার্যের কাছে দুই নির্বাহী প্রকৌশলী লিখিত অভিযোগে বলেছেন, কুয়েটের ১৩ নম্বর ভবনের কাজের ছাদের ওয়াটার প্রুফিংয়ের কাজের দর প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ের প্রকৌশলীরা বাজারদরের সঙ্গে সরকারি নিয়মানুযায়ী ভ্যাট, আইটি ও ১০ শতাংশ প্রফিট (দাপ্তরিকভাবে পূর্বনির্ধারিত) যুক্ত করে দর নির্ধারণ করা হয়। ১০ শতাংশ প্রফিটে আপত্তি ঠিকাদার মোল্লা সোহাগের। তাঁকে আরও বেশি প্রফিট দিতে হবে বলে মুঠোফোনে প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়াকে বলেন। এ কথা বলার পর প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন, কিন্তু কোনো কথা না শুনে ফোনেই নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া ও নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ আবু হায়াতকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন মোল্লা সোহাগ। এ অবস্থায় প্রকৌশলী দুজন জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেন।

শেখ আবু হায়াত বলেন, ‘রোববার তিনটা বাজার কিছু আগে খানজাহান আলী থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পরিচয়ে আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, “তুই চেয়ারের পরে বসে সবাইরে ১০ লাখ ২০ লাখ টাকার কাজ দিস, আমাকে দিছিস টেন পারসেন্ট লাভে” বলে আমাকে যাচ্ছেতাই বলে গালিগালাজ করেন। পাঁচ মিনিট পর ফোন দিয়ে একই রকমভাবে আমাকে দেখে ছাড়বে, আমার বাড়ি আক্রমণ করবে, ফুলবাড়ি গেটে গেলে আমাকে দেখে নেবে—এসব কথা বলে আমাকে হুমকি দেওয়া হয়। অশ্রাব্য গালিগালাজ করা হয়।
শেখ আবু হায়াত আরও বলেন, ‘কাজটা দেওয়ার পর তিনি কোনো সময় বলেননি যে কাজটা ছোট হয়েছে বা বড় হয়েছে বা আর কী করা যায়। হঠাৎ ফোনটা দিয়েছেন। কাজটা আড়াই লাখ টাকার মতো।

নিজের সাংগঠনিক পরিচয় ও প্রকৌশলীর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলার বিষয়টি স্বীকার করেছেন মোল্লা সোহাগ। তবে কোনো ধরনের ঠিকাদারি কাজের সঙ্গে তিনি জড়িত না বলে দাবি করেন। মোল্লা সোহাগ বলেন, কুয়েট হচ্ছে থানা বিএনপির সেক্রেটারি আব্বাসের নিয়ন্ত্রণে। আর বাদামতলার ওপাশে থানা বিএনপির সভাপতি কাজী মিজানের নিয়ন্ত্রণে। আপনি যদি প্রমাণ দেখাতে পারেন কুয়েটে আমার একটা টাকার কাজ আছে, তাহলে যা বলবেন মেনে নেব। এখানে কাজও করে আব্বাস, হুমকি দেয় ওরা, জোর–জুলুম করে ওরা। আমার নেতার অর্ডার আছে, আমি কখনো টেন্ডারে যাই না, কোন ঠিকাদারিতে যাই না।

দিনাজপুরে জেলা যুবদলের আয়োজনে একটি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়

মাসুদুর রহমান, দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি।
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫, ৯:১৫ অপরাহ্ণ
দিনাজপুরে  জেলা যুবদলের আয়োজনে একটি বিক্ষোভ মিছিল ও  সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়

১৭ জুলাই ২০২৫ বেলা ৫ ঘটিকার সময় সরকারের ‘নির্লিপ্ততায়’ সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার ‘ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে’ দিনাজপুর জেলা যুবদলের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে লিলি মোড়, বুটিবাবুর মোড়, মুন্সিপাড়া, মডার্ন মোড় থেকে ঘুড়ে এসে আবার দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিবাদ সমাবেশ।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা যুবদলের আহবাহক- এ কে এম মাসুদুল ইসলাম, সঞ্চালনা করেন মো: রেজাউল রহমান রেজা সদস্য সচিব।
তারা বলেন দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সকলকে একসাথে কাজ করা ও দেশের সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে।

উপস্থিত ছিলেন বখতিয়ার আহমেদ কচি জেলা বিএনপি সাধারন সম্পাদক ( স্থগিত), সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান বাদশা, মোন্নাফ মুকুল জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি, তোশা জেলা বিএনপি সহ-সভাপতি, মজিবর রহমান মজিব কৃষক দলের সদস্য সচিব, বাবু চৌধুরী প্রচার সম্পাদক আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক মো. নুর আলম হক খোকন, মো. মাসুদ রানা, মো. রবিউল আলম শামীম, মো. শহীদুল ইসলাম সাজু, মো. শামীম আখতার শামীম, মো. ফরিজার রহমান তপু, মো. মিজানুর রহমান মুকুল, মো. আনোয়ার হোসেন খোকন, মো. মিজানুর রহমান সাজু, মো. মাসুম রেজা পলাশ, মো. নজরুল ইসলাম খোকা, মো. গোলাম মুর্শেদ খান রাজন, মো. খায়রুল হাসান, মো. কাদের খান জনি, মো. আব্দুল্লাহ আল মুরাদ মুন্না, মো. নবাব আলী ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

ফাতিন আহনাফের স্বপ্নের পাশেই থাকবেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল

নেত্রকোণা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫, ৮:২৯ অপরাহ্ণ
ফাতিন আহনাফের স্বপ্নের পাশেই থাকবেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল

চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে সেরা হবার গৌরব অর্জন করে দুর্গাপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাতিন আহনাফ। কৃতি এই শিক্ষার্থীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তার পক্ষ থেকে এই কৃতি শিক্ষার্থীকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বার্তা এবং দশ হাজার টাকার প্রাইজবন্ড উপহার দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ ফাতিন আহনাফের বাড়িতে গিয়ে ব্যারিস্টার কায়সার কামালের উপহার পৌঁছে দেন। এসময় তারা এই শিক্ষার্থীর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন।

ফাতিন আহনাফ দুর্গাপুর উপজেলার কাকৈরগড়া গ্রামের লুৎফর রহমান ও উম্মে কাউসার দম্পতির কন্যা। সে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অংশগ্রহণ করে ১৩০০ নম্বরের মধ্যে ১২১৬ নম্বর পেয়ে গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ অর্জন করে। তার এই অসাধারণ সাফল্যে বিদ্যালয়ের শিক্ষক,শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক মহলে আনন্দের জোয়ার বয়ে যায়।

ফাতিন জানান,তার এই অর্জনের পেছনে শিক্ষকবৃন্দ এবং তার অভিভাবকদের বড় ভূমিকা রয়েছে। তাদের কল্যাণেই এই ফলাফল অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। ভবিষ্যতে সে ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চায়।

এই কৃতি শিক্ষার্থীর বাবা লুৎফর রহমান বলেন,ফাতিনের এই অর্জনে আমরা সকলেই আনন্দিত,আপ্লুত। তাকে সম্মাননা জানানোর জন্য ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সাহেবকে আমরা আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। বড় মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে এটি তাকে অনেক অনুপ্রেরণা যোগাবে।

এসময় বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেন,ফাতিন আহনাফের সেরা ফলাফলে আমরা খুবই আনন্দিত। সে আমাদের গর্ব। এই কৃতি শিক্ষার্থীর স্বপ্নের পাশেই থাকবেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি জহিরুল আলম ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়াল, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারেজ গণি, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ জিন্নাহ, সাবেক সহ সভাপতি অধ্যক্ষ শহীদুল্লাহ খান,সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিএনপি নেতা এডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ইউসুফ খান সহ বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

অনার্স-মাস্টার্সে প্রথম, তবুও ভাইভায় ডাক মেলেনি আজমলের

মীর তুহিন, রাবি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫, ৮:১৭ অপরাহ্ণ
অনার্স-মাস্টার্সে প্রথম, তবুও ভাইভায় ডাক মেলেনি আজমলের

(more…)