কুড়িগ্রামে বিরল রোগে আক্রান্ত মোকাররমের পাশে রশিদ মন্ডল যুব ফাউন্ডেশন

১২ বছর বয়সেই জীবনযুদ্ধে হেরে যেতে বসেছে নাগেশ্বরী উপজেলার কালীগঞ্জ, সবুজ পাড়ার এক মেধাবী কিশোর মোকাররম। ২০১৩ সালে ৩য় শ্রেণিতে পড়ার সময় তার শরীরে বিরল রোগ (লিপোড প্রোটিনেসিস) ধরা পড়ে।
হতদরিদ্র বাবা মোঃ কোরবান আলী, ছেলেকে সুস্থ করতে শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করেও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারিনি। চার ভাইয়ের মধ্যে মোকাররম তৃতীয়। বড় ভাইও মানসিকভাবে অসুস্থ।
রোগটি এতটাই যন্ত্রণাদায়ক ও অজানা যে মোকাররম ঠিকমতো বসতে পারে না, কথাও স্পষ্ট বলতে পারে না, তার সারা শরীরে তীব্র জ্বালাপোড়া অনুভূত হয়। দীর্ঘদিন পর ২০২৪ সালে এলাকাবাসীর সহায়তায় মোকাররমের চিকিৎসা শুরু হলেও অর্থের অভাবে তার চিকিৎসা থেমে যায়।
সম্প্রতি মোকাররমের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়, যেখানে সে চিকিৎসার জন্য দেশবাসীর কাছে আকুতি জানায়। ভিডিওটি রশিদ মন্ডল যুব ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজানের চোখে পড়লে তিনি মোকাররমের পাশে দাঁড়ান।
গত ১লা মে তিনি মোকাররমের বাড়িতে গিয়ে তার প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধ ও নগদ অর্থ প্রদান করেন এবং পরিবারকে আশ্বাস দেন যে, তিনি দীর্ঘমেয়াদে মোকাররমের পাশে থাকবেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মোবারক আলী বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে এবং সরকারের পক্ষ থেকেও এই অসহায় ছেলেটির চিকিৎসায় চেষ্টা করেছি”।
স্থানীয় মানবিক ব্যক্তিত্ব লাভলু, গ্রীন ভয়েস নাগেশ্বরী উপজেলা শাখার সভাপতি মাইদুল ইসলাম মামুন, প্রথম টিভির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মুহতাসিম বিল্লাহসহ আরও অনেকে এই সহানুভূতিমূলক মুহূর্তে উপস্থিত ছিলেন।
এলাকাবাসী এই উদার সহায়তায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং মোকারমের চিকিৎসা ও জীবনযাপনের জন্য সকলের কাছে একটি স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।