আত্মহত্যা করলেন জুলাই বিপ্লবে শহিদের কণ্যা লামিয়া

জুলাই বিপ্লবে শহীদ হওয়া জসিম উদ্দিনের কন্যা পটুয়াখালীর দুমকীর পাংগাশিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড নিবাসী লামিয়া (১৭), আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।
তার এই অকাল মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবার, আত্মীয়স্বজন এবং সচেতন মহলে তীব্র বেদনা বিরাজ করছে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, লামিয়া গত ১৮ মার্চ ২০২৫ তারিখে এক নির্মম পাশবিক নির্যাতনের (ধর্ষণের) শিকার হন। এ বিষয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই হতাশার মধ্যে ছিলেন লামিয়া।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকায় মোহাম্মদপুরের শেখেরটেক এলাকায় তার মায়ের ভাড়া বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন লামিয়া। পরে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা বলছেন, অপরাধের বিচার না হওয়া এবং সামাজিক চাপের মুখে পড়ে লামিয়া চরম হতাশায় আত্মহননের পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন।
লামিয়ার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়েছে বিভিন্ন মহল থেকে। পাশাপাশি, এই মর্মান্তিক ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছেন তারা।
জানতে চাইলে দুমকী থানার ওসি জাকির হোসেন বলেন, এই মামলার এজাহার নামীয় ২ জন আসামি ১। সাকিব মুন্সি ২। সিফাত মুন্সি ২ জনেই জেল হাজতে। তাদের জামিন হয়নি। ২ জনেই বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
প্রসঙ্গত, গণ-অভ্যুত্থানে পুলিশের গুলিতে ঢাকায় শহীদ হন পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার জসিম হাওলাদার। তার মেয়ে লামিয়া আক্তারকে গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যার পরে লামিয়া তার বাবার কবর জিয়ারত শেষে নানাবাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা হয়। পথে নলদোয়ানী এলাকা থেকে সাকিব ও সিফাত নামে দু’জন তাকে অনুসরণ করতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা মুখ চেপে ধরে পাশের জলিল মুন্সির ভিটা বাগানে নিয়ে যান। সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয় এবং ঘটনার ছবি তুলে সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। এ ঘটনায় মামুন মুন্সির ছেলে সাকিব মুন্সি ও অপর আসামি সোহাগ মুন্সির ছেলে সিফাত মুন্সীর নাম উল্লেখ করে দুমকি থানায় মামলা করেছিলেন ভুক্তভোগী লামিয়া।